কুমার নদের ওপর সেতু না থাকায় প্রায় তিন লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, আগস্ট ৩১, ২০২৫

কুমার নদের ওপর সেতু না থাকায় প্রায় তিন লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি

কুমার নদের ওপর সেতু না থাকায় প্রায় তিন লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি
কুমার নদের ওপর সেতু না থাকায় প্রায় তিন লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি


শরিফুল হাসান, সালথা প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথা উপজেলার সীমান্তবর্তী বল্লভদী ইউনিয়নের কামারদিয়া বাজার এলাকায় কুমার নদের ওপর সেতু না থাকায় যুগ যুগ ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। এ সেতু না থাকায় ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার দুই উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রতিদিন নানামুখী সমস্যার শিকার হচ্ছেন।


স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে নৌকায় পারাপারের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আবার শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে সবসময়। এতে করে শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী ও সাধারণ যাত্রীরা দারুণ দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া এখানে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।


কৃষকদের অভিযোগ, পরিবহন সমস্যার কারণে তারা উৎপাদিত ফসল ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন না। নৌকা ও সাঁকো পার হয়ে শহরে পণ্য নিতে গিয়ে সময় ও খরচ বেড়ে যায়। অনেক সময় পচনশীল পণ্য নষ্টও হয়ে যায়।


কামারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “বর্ষায় আমাদের খেয়া নৌকায় পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। খেয়া মিস করলে ঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টি হলে অনেক দিন স্কুলেও যাওয়া যায় না।”


খেয়া ঘাটের মাঝি জমির মিয়া জানান, সামান্য বাতাস বা ঘন কচুরিপানার কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, “এখন প্রায় সব জায়গায় ব্রিজ হয়েছে, শুধু এখানে হয়নি। একটা ব্রিজ হলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ থেকে বাঁচতো।”


বল্লভদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, “এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিষয়টি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে।”


সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাফর মিয়া বলেন, “ওই স্থানে আইডিবি প্রকল্পের আওতাভুক্ত রাস্তা নেই। তবে আমি আমার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠাবো, পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকার বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


স্থানীয়দের দাবি, কামারদিয়া খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মিত হলে বদলে যাবে পুরো অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। উন্নত হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের যাতায়াতে আসবে স্বস্তি।



Post Top Ad

Responsive Ads Here