![]() |
কুষ্টিয়ার উদয়পুর সীমান্তে পদ্মা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে বিজিবি |
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী উদয়পুর এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর ব্যবস্থাপনায় অধীনস্থ উদয়নগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় এ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিজিবির যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াসির জাহান হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেন।
রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের উদয়পুর বিওপি নদীগর্ভে বিলীন হলেও সীমান্ত সুরক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা শূন্যতা এড়াতে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন ও নৌযান ব্যবহার করে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি পূর্ববর্তী অবস্থানের কাছেই নতুন বিওপি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনে শুধু বিওপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি; অনেক পরিবারও ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিজিবি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
রিজিয়ন কমান্ডার জোর দিয়ে বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির মনোবল ও দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকারকে দুর্বল করতে পারবে না।” তিনি জানান, অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোট ব্যবহার করে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটিয়েছে বিজিবি।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার, কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের উদয়নগর বিওপি পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তবে এর আগে ঝুঁকি বিবেচনায় অধিকাংশ সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।
মো: নাজমুল হোসেন ইমন/nmW/রাজ