
রাঙামাটিতে ধর্ষণ ইস্যুতে পিসিসিপি’র নৌ পথে মানববন্ধন
মো: নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার:
পাহাড়ে ধর্ষণ ইস্যুকে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার প্রতিবাদে নৌ পথে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটি পৌর এলাকার কাপ্তাই হ্রদের শহীদ মিনার ঘাট থেকে শুভলং ঝর্ণা পর্যন্ত নৌযানে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শুভলং ঝর্ণার সামনে নৌযানগুলো একত্র হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি সম্পন্ন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ, এবং সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো: পারভেজ মোশাররফ হোসেন।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, পিসিএনপি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, বরকল উপজেলা নেতা সোহরাব হোসেন, এমদাদুল ইসলাম, পিসিসিপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম বাবু, আরিয়ান রিয়াজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও পার্বত্য অঞ্চলে সংঘটিত একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় বিচার না হয়ে বরং ঘটনাগুলোকে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে।
তারা অভিযোগ করেন, “যখন কোনো পাহাড়ি নারী ভিকটিম হন, তখন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী সেটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সহিংসতা ছড়ায়। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে বাঙালি বা অন্য সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় একই সংগঠনগুলো নীরব ভূমিকা রাখছে। এটি দ্বিচারিতা ও ভণ্ড ন্যায়বিচারের পরিচয়।”
বক্তারা প্রশ্ন তোলেন —“ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ হবে কি কেবল জাতিগত পরিচয় দেখে? নাকি অপরাধী যে-ই হোক, তাকে বিচার আনার দাবিতে সবাই এক কণ্ঠে কথা বলবে?”
বক্তারা আরও বলেন, অতীতে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে তিনজনের প্রাণহানি ও বহু ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তাদের অভিযোগ, এসব ঘটনার পেছনে পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত কিছু ব্যক্তির ভূমিকা রয়েছে।
বক্তারা দাবি করেন,“পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাইকেল চাকমাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তার রায় কার্যকর করতে হবে।”
