আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কমিটি নিয়ে উত্তাপ: ‘আ.লীগ পুনর্বাসন কমিটি’ আখ্যা দিয়ে লাঠি মিছিল

 

আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কমিটি নিয়ে উত্তাপ: ‘আ.লীগ পুনর্বাসন কমিটি’ আখ্যা দিয়ে লাঠি মিছিল

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত কমিটি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।কমিটিকে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কমিটি’ আখ্যা দিয়ে কমিটি বাতিলের দাবিতে লাঠি মিছিল করেছেন পদবঞ্চিত একাংশের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা বিএনপির একাংশের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা সদর বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদ এবং উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ইয়াদ প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “দলীয় দুর্দিনে যেসব ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিএনপিকে ধরে রেখেছেন, তাদের উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় কৃষকদল নেতা **খন্দকার নাসিরুল ইসলাম টাকার বিনিময়ে নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত ব্যক্তিদের পদ দিয়েছেন।”

তারা এই কমিটিকে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কমিটি’ বলে দাবি করে এর বাতিল এবং ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। বক্তারা আরও হুঁশিয়ারি দেন—“দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়ব না।”

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপনের স্বাক্ষরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।এই ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

ফরিদপুর-১ আসন (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) এলাকায় বিএনপির রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরেই দুই গ্রুপে বিভক্ত।একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম,আর অপর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন বোয়ালমারী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।

দুজনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। নবগঠিত কমিটিতে ঝুনু গ্রুপের ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত ও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।