বড়াইগ্রামে শোক দিবসে পৃথক সংঘর্ষে ১৬ জন আহত,আটক ১

হামলার দৃশ্য

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি-নাটোরের বড়াইগ্রামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোক সভায় অংশগ্রহণ করতে আসা নেতাকর্মীদের উপর দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত ও ৫ টি মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অপর এক আলোচনা সভায়  বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আরো ৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। 

জানা যায়, বুধবার বিকালে বড়াইগ্রাম পৌরসভা চত্ত্বরে পৌর যুবলীগের উদ্যোগে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।এ শোক সভায় যোগদানের জন্য জোনাইল ও চান্দাই ইউনিয়ন থেকে আসা নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলার রোলভা এলাকায় আসলে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আগে থেকে রাস্ত্য়া লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে দাড়িয়ে থেকে তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় চান্দাই ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান জিন্নাহ, চান্দাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ইন্তাজ, জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন মাষ্টার, আওয়ামীলীগ কর্মী নজু খাঁ, ইসরাইল হোসেন, মেহেদী হাসান, মমিন আলী, ফরহাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা মিন্টু আহত হন। পরে আহতদের মধ্যে সাতজনকে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

অপরদিকে, সকালে বড়াইগ্রাম সরকারী কলেজের আলোচনা সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী হাসানুজ্জামান শিপন (১৯), উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মাসুদ রানা (২০) ও শাহীন আলম (২২)কে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসানুজ্জামান শিপনকে হাসপাতাল থেকে আটক করে পুলিশ। বুধবার সকালে শিপন ৪-৫ জন বহিরাগত যুবকদের নিয়ে কলেজ চত্বরে শোকদিবসের মঞ্চে গিয়ে শিক্ষকদের নির্ধারিত চেয়ারে বসে। সেখানে উপস্থিত কলেজের ছাএ মাসুদ রানা তাদেরকে শিক্ষকের চেয়ার ছেড়ে দিতে বললে তাদের মধ্যে বিতর্ক বাধে। এর এক পর্যায়ে শিপন উত্তেজিত হয়ে মাসুদের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় অন্যরা এগিয়ে এলে সংঘর্ষ বাধে। এতে মাসুদ, শিপনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বলেন, খবর পেয়ে কলেজ চত্বরে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অধ্যক্ষের অভিযোগে শিপন নামে এক ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।