কালিহাতীতে সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮

কালিহাতীতে সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ!

জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল-টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আকুয়া গ্রামের ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার অবৈধ মেলামেশার অভিযোগ ওঠেছে সদ্য সেনাবাহিনীতে যোগদান করা এক সৈনিকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই মেয়েটি প্রতারিত হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচারের আশায়। অবশেষে বিচার না পেয়ে সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছে। সেনাবাহিনীর ওই সৈনিকের নাম ফরিদ হাসান (১৯)। তিনি উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের নুুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে দিনাজপুরের সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে কমর্রত। 
মামলা সূত্রে জানা যায়, আকুয়া গ্রামের ওই মেয়েটি বি,এস বিশেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ফরিদ হাসান প্রায়ই উত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সাথে ফরিদ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ফরিদ মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করে এবং তার বাড়িতে যাওয়া আসা শুরু করে। এরই মধ্যে ফরিদ হাসানের সেনাবাহিতে চাকুরী হয়। মেয়েটি ফরিদকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলে। 
এর পর মেয়েটির পরিবার ফরিদের পরিবারের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ছেলের সেনাবাহিতে চাকুরী হয়েছে সেখানে কয়েক লাখ টাকা লাগবে। এ কথা শুনে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার মা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার নিয়ে ফরিদের বাবাকে তিন লাখ টাকা দেন এবং তারা তার ছেলের সাথে মেয়েটির বিয়ের আশ্বাস দেন। পরে ফরিদ নীলফামারীর সৈয়দপুর চাকুরীতে চলে যাওয়ার পর তার বাবা ও সে মেয়েটির পরিবারের সাথে টালবাহানা শুরু করে। এ অবস্থায় মেয়ে ও তার মা বাধ্য হয়ে সৈয়দপুর ফরিদের কর্মস্থলে যান। সেখানে ফরিদের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শুনে তাকে (ফরিদের) ওই মেয়েকে বিয়ের জন্য কয়েকদিন ছুটি মঞ্জুর করেন। কিন্তু ছুটি পেয়ে ফরিদ তার নিজ গ্রাম আকুয়ায় না এসে আত্মগোপন করে। পরে এ নিয়ে স্থানীয় মাতাব্বরদের সহযোগীতায় কয়েকদফা শালিশী বৈঠকের আয়োজন করা হলেও সেখানে ফরিদ বা তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত না হওয়ায় কোন মিমাংসা হয়নি। এতে করে লোক লজ্জার ভয়ে মেয়েটি স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি (তদন্ত) মনছুরুল আল আরিফ জানায়, এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের আদালতে একটি মামলা হলে বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাদের থানায় এসেছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here