দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদের বিরোদ্ধে শেখ হাসিনার গৃহায়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সোনাপুর নিবাসী মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, হত দরিদ্র অসহায় গৃহহীনদেরকে যে গৃহ বরাদ্ধ দিয়াছেন, সেই বরাদ্ধ সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ দরিদ্র ও হত দরিদ্রকে না দিয়ে উনার পছন্দের স্বচ্ছল ও ঘর বাড়ী ওলা একাদিক প্রবাসী লোক আছে এমন ধনি পরিবার কে সরকারের গৃহায়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে। যা অভিযোগে উল্লেখ সোনাপুর গ্রামের মৃত জাহির আলীর পুত্র নানু মিয়াকে চেয়ারম্যান যে ঘর দিয়াছে তার ২ টি পাকা পিলারের টিনের ছাউনীও বেড়া যুক্ত ঘর রয়েছে। অথচ তার সরকারী ঘর পাওয়ার প্রয়োজন না হলেও তাকে ঘর দেওয়া হয়েছে। একই গ্রামের রহমত আলী সহ একাদিক পরিবারের ঘর নেই, অন্যের ঘরে বসবাস করে, কেউ খোলা আকাশে বাস করলেও তারা ঘর পায়নী। অভিযোগের ভিত্তিতে আরও জানা যায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ ভিজিএফ, ভিজিডি,মাতৃত্বকালিন ভাতা হত দরিদ্র গরিব দেরকে না দিয়ে নিজস্ব ব্যক্তি দিয়ে উটিয়ে নেয়।
এব্যপারে অভিযোগ কারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সরকারী বরাদ্ধ পাওয়ার জন্য অভিযোগ করি নাই, আমি মনে করি সরকারী গৃহায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে অতিদরিদ্র গরিব জনগণ ঘর হারা মানুষ জন, সরকারী গৃহায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাথা গোছার ঠাই পাবে। গরিব লোক ঘর না পেয়ে ধনিরা ঘর পায়, শুধু তাই নয় ভিজিএফ, ভিজিডির কার্ডও সঠিক লোকেরা পায় না,তাই তাদের হয়ে সঠিক বিচারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আমার এই অভিযোগ।
অভিযোগের ব্যপারে সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত্রের মধ্যামে খতিয়ে দেখা হবে।