ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফকিরের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Tuesday, May 28, 2019

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফকিরের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা


ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ওই ইউনিয়নের তার পরিষদের নয় নির্বাচিত ইউপি সদস্য।
 
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহানের কাছে নয় ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত অনাস্থা প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হয়।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের যে অভিযোগ আনা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে, ৪০ দিনের কাজে যেসব শ্রমিকের তালিকা ব্যাংক ও উপজেলার জমা দেওয়া হয়েছে তাদের দিয়ে টাকা না তুলে ভুয়া টিপ সহি দিয়ে টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করা, ধলার মোড় এলাকায় শহররক্ষা বাঁধঘেঁষে পদ্মা নদীর তীরের মাটি কেটে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা, ২০১৮-১৯ সালের এডিবির কাজ না করে সম্পূর্ণ টাকা উঠিয়ে নেওয়া, এলজিএসপি প্রকল্পের আনুমানিক নয় লাখ টাকা তছরুপ করা, পরিষদের রেজুলেশন না লিখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সদস্যদের স্বাক্ষর নেওয়া, শ্রমিক দিয়ে কাজ না করে খনন যন্ত্র দিয়ে ৪০ দিনের কাজ করা, ১০ টাকা মূল্যের চাল অতিদরিদ্রদের না দিয়ে স্বজনপ্রীতি করে আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া, সদস্যদের প্রতি মানহানিকর উক্তি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা, ১% এর টাকা কোনো প্রকল্পের কাজ না করে সমুদ্বয় টাকা আত্মসাৎ করা ইত্যাদি।
যে নয়জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন তাদের সাতজন সাধারণ এবং দুজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।
সাধারণ সমস্যরা হলেন, তিন নম্বর ওয়ার্ডের মো. মান্নান মিয়া, চার নম্বর ওয়ার্ডের মো. জামিল মন্ডল, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খায়রুজ্জামান, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মো. মিন্টু মিয়া, সাত নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোসলেম উদ্দিন প্রামাণিক, আট নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল হাসান এবং নয় নম্বর ওয়ার্ডের মো. আসাদুজ্জামান খান।
সংরক্ষিত দুই নারী সদস্য হলেন চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মনোয়ারা বেগম এবং সাত, আট, নয় নম্বর ওয়ার্ডের হাসিনা পারভীন।
অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। তিনি বলেন, তিনি শহররক্ষা বাঁধের ক্ষতি করে বালু কাটেননি। তিনি সব সিদ্ধান্ত পরিষদের সভায় নেন এবং পরিষদের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো কাজ করেন না।  
নয় ইউপি সদস্যের অনাস্থাপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান বলেন, এটি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসকই এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকিরের বিরুদ্ধে পদ্মা নদীর তীর থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে পদ্মা নদীর তীর হুমকির মধ্যে পড়েছে অনেক বার। যা নিয়ে জাতীয় গনমাধ্যমে রির্পোট হয়েছে বার বার এতেও থেমে থাকেনি তার বালু উত্তোলনের মহৎসব।

No comments: