টাঙ্গাইলে সন্তোষের সেতুটি পুনঃ র্নিমাণ না হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরমে - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০১৯

টাঙ্গাইলে সন্তোষের সেতুটি পুনঃ র্নিমাণ না হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরমে


জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল-
টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভেঙ্গে পড়া লালপুলটি পুনঃ নির্মাণ না হওয়ায় এই সড়কে চলাচলকারী জনসাধারনের জনদূর্ভোগ চরমে।
গত ১১ মে শনিবার ভোরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ি সড়কের সন্তোষ বাজারের পশ্চিম পাশে লালপুল নামে খ্যাত বেইলী সেতুতে বালুভর্তি একটি বড় ট্রাক উঠে গেলে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে।
সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার পর জন সাধারনের চলাচলের জন্য এলজিইডি এই ভাঙ্গা সেতুর নিচে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত একটি ¯øুইচগেটকে বিকল্প সেতু হিসেবে ব্যবহার করে একটি সংযোগ সড়ক নির্মান করে দেয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের পোড়াবাড়ী, দাইন্যা, কাতুলী, হুগড়া ও মাহমুদ নগর ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ বিকল্প সেতু ব্যবহার করছে। বিকল্প এ সড়কে ভারী যান চলাচল করার অনুপযোগী এবং সংযোগ সড়কটি এবরো থেবরো হওয়ায় হালকা যান চলাচলেও অসুবিধা হচ্ছে।
এছাড়া মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও এম এম আলী কলেজ ও সন্তোষ জাহ্নবী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেতুটি পুনঃ নির্মাণ না হওয়ার কারনে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সরেজমিনে গিয়ে কথা হলো এই সড়কে চলাচলকারী সিএনজি-অটোচালক, মটর সাইকেল আরোহী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে।
এ ব্যাপারে এ সড়কে চলাচলকারী সন্তোষের অটোরিক্সা চালক আব্দুল করিম বলেন, এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করা খুব কষ্টের। প্রায় ক্ষেত্রেই যাত্রীদের সেতুর রক্ষিত বেলতা অংশে নামিয়ে দেই। ফলে যাত্রীদের হেটে সেতু পার হয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে সিএনজিতে উঠতে হয়। এ কারনে যাত্রীদেরও সমস্যা হচ্ছে। আমাদের আয় কম হচ্ছে। অটো চালক মনি বলেন, এই সেতু দিয়ে চলাচলের সময় খুব ভয়ে থাকি। একবার এই সেতুর ঢাল বেয়ে নামার সময় যাত্রী নিয়ে উল্টে পড়েছিল। এ ছাড়া এই সড়ক ও সেতু ব্যবহারের ফলে অটোরিক্সার ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারী এম এম আলী কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র পোড়াবাড়ী গ্রামের হামিদুল জানান, আমাদের দু’টি কলেজ বাস এই সেতু ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী আনা নেওয়া করতো। বর্তমানে বাস দু’টি চলাচল করতে পারছে না। ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রæত সেতুটি নির্মাণের জোর দাবি জানান তিনি।
তোরাবগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক বছির আহমেদ ক্ষোভের সাথে বলেন, এই সেতুর কারনে রোগী পরিবহনে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে। এতে সময় অনেক বেশী লাগছে, তাদের পরিবারের খরচও অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, এই সড়কে নতুন করে এই সেতু নির্মাণ করা হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা হয়েছে। তাদের নির্মিত ¯øুইচ গেটটি সেতু হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার সাথে লেভেল করে নতুন করে সড়ক নির্মাণ করা হবে। আগের সেতুটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল। ফলে সেটা অনেক উচু ছিল। বর্তমানে ¯øুইস গেটটি রাস্তার লেভেলে আছে। তাই শুধু মাত্র সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। খুব দ্রæত সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম
মোবাঃ ০১৭১৬-৪৮১৭৯৪ৃ টাঙ্গাইলে সন্তোষের সেতুটি পুনঃ র্নিমাণ না হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরমে
জাহাঙ্গীর আলম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভেঙ্গে পড়া লালপুলটি পুনঃ নির্মাণ না হওয়ায় এই সড়কে চলাচলকারী জনসাধারনের জনদূর্ভোগ চরমে।
গত ১১ মে শনিবার ভোরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ি সড়কের সন্তোষ বাজারের পশ্চিম পাশে ”লালপুল” নামে খ্যাত বেইলী সেতুতে বালুভর্তি একটি বড় ট্রাক উঠে গেলে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার পর জন সাধারনের চলাচলের জন্য এলজিইডি এই ভাঙ্গা সেতুর নিচে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত একটি ¯øুইচগেটকে বিকল্প সেতু হিসেবে ব্যবহার করে একটি সংযোগ সড়ক নির্মান করে দেয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের পোড়াবাড়ী, দাইন্যা, কাতুলী, হুগড়া ও মাহমুদ নগর ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ বিকল্প সেতু ব্যবহার করছে। বিকল্প এ সড়কে ভারী যান চলাচল করার অনুপযোগী এবং সংযোগ সড়কটি এবরো থেবরো হওয়ায় হালকা যান চলাচলেও অসুবিধা হচ্ছে।
এছাড়া মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও এম এম আলী কলেজ ও সন্তোষ জাহ্নবী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সেতুটি পুনঃ নির্মাণ না হওয়ার কারনে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সরেজমিনে গিয়ে কথা হলো এই সড়কে চলাচলকারী সিএনজি-অটোচালক, মটর সাইকেল আরোহী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে।
এ ব্যাপারে এ সড়কে চলাচলকারী সন্তোষের অটোরিক্সা চালক আব্দুল করিম বলেন, এই সড়কে যাত্রী নিয়ে চলাচল করা খুব কষ্টের। প্রায় ক্ষেত্রেই যাত্রীদের সেতুর রক্ষিত বেলতা অংশে নামিয়ে দেই। ফলে যাত্রীদের হেটে সেতু পার হয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে সিএনজিতে উঠতে হয়। এ কারনে যাত্রীদেরও সমস্যা হচ্ছে। আমাদের আয় কম হচ্ছে। অটো চালক মনি বলেন, এই সেতু দিয়ে চলাচলের সময় খুব ভয়ে থাকি। একবার এই সেতুর ঢাল বেয়ে নামার সময় যাত্রী নিয়ে উল্টে পড়েছিল। এ ছাড়া এই সড়ক ও সেতু ব্যবহারের ফলে অটোরিক্সার ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারী এম এম আলী কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র পোড়াবাড়ী গ্রামের হামিদুল জানান, আমাদের দু’টি কলেজ বাস এই সেতু ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী আনা নেওয়া করতো। বর্তমানে বাস দু’টি চলাচল করতে পারছে না। ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রæত সেতুটি নির্মাণের জোর দাবি জানান তিনি।
তোরাবগঞ্জ বাজারের পল্লী চিকিৎসক বছির আহমেদ ক্ষোভের সাথে বলেন, এই সেতুর কারনে রোগী পরিবহনে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে। এতে সময় অনেক বেশী লাগছে, তাদের পরিবারের খরচও অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, এই সড়কে নতুন করে এই সেতু নির্মাণ করা হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা হয়েছে। তাদের নির্মিত ¯øুইচ গেটটি সেতু হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার সাথে লেভেল করে নতুন করে সড়ক নির্মাণ করা হবে। আগের সেতুটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল। ফলে সেটা অনেক উচু ছিল। বর্তমানে ¯øুইস গেটটি রাস্তার লেভেলে আছে। তাই শুধু মাত্র সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। খুব দ্রæত সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here