লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা, হবিগঞ্জে আটক ৪

সময় সংবাদ ডেস্ক//

দেশজুড়ে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে লবণের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে গুজবের মাধ্যমে বাজারে পণ্যটির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। একদিন পর অতিরিক্ত দামে লবণ কিনতে হবে, এমন গুজবের পর দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হবিগঞ্জে বিক্রি হয়েছে লাখ লাখ টাকার লবণ। এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। 

জানা যায়, হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় দুই ঘণ্টায় লাখ লাখ টাকার লবণ বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে লবণ মজুদ করাও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। সর্বনিম্ন ৫ কেজি ও সর্বোচ্চ ৫০ কেজি করে লবণ বিক্রি হচ্ছে। সোমবার রাতে দেখা গেছে এমন পরিস্থিতি। 

এদিকে, রাত সাড়ে ১০টায় হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকার রহমান এন্টারপ্রাইজ থেকে প্রায় ২০ বস্তা লবণ জব্দ ও ৪ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের পরিচয় জানানো হয়নি। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদসহ একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। 

আমিরুল ইসলাম জানান, লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করায় ৪ জন আটক ও ২০ বস্তা লবণ জব্দ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার প্রস্তুতি চলছিল। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা শহর, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, চুনারুঘাট ও বাহুবল উপজেলায় একদিনের মধ্যেই লবণের মূল্য বাড়বে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর দোকানে ভিড় করতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সমর রায় ৭০ হাজার, হরিপদ রায় ৫০ হাজার এবং বিকাশ মোদক ২০ হাজার টাকার লবণ বিক্রি করেছেন। 

আজমিরীগঞ্জ বাজারে আসা আফছার মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, মানুষের মুখ থেকে জানতে পেরেছি পিয়াজের মতো লবণের দামও বাড়বে। তাই আমি ৮ কেজি লবণ কিনে রেখেছি। একই বাজারে আসা আজমিরীঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের ওয়ারিশ মিয়া নামে আরেক ব্যক্তিকেও ৫ কেজি লবণ কিনে নিতে দেখা যায়। 

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান জানান, শহরের চৌধুরী বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।