ফরিদপুরে আবারও ভুয়া বায়না নামা দিয়ে সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০১৯

ফরিদপুরে আবারও ভুয়া বায়না নামা দিয়ে সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ


বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভুয়া বায়নানামা দিয়ে অসহায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমিটি উদ্ধারে সাতৈর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি পরিবারটি।
  
সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর ২১/৭/২০১৯ নিরাঞ্জন কুন্ডুর ছেলে স্বরুপ কুন্ডুর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামরে নিরাঞ্জন কুন্ডুর পৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত মহিশালা মৌজার ৬৫৮ নং দাগের এক একর দুই শতক জমি ২০১১ সালে কেরশাইল গ্রামের মৃত আজহার মুন্সির ছেলে মো. হিরু মুন্সি জোর করে দখল করে। সে দখলকৃত জমির মাটি বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করে পুকুর কেটে মাছ চাষ করাসহ বাকী একটি অংশে খাজা মইনুদ্দিন চিশতিয়া (র:) দরবার শরীফ লেখা একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে ও অপরাংশে তার মালিকানাধীন একটি কার্বন ফ্যাক্টরীর কর্মচারীদের বাসস্থান নির্মাণ করেছে।
    
জানা যায়, হিরু মুন্সি ২০১০ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে পরাজিত হয়। পরবর্তীতে কৌশলে সে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে।
    
সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, ১৯৬৩ সালে মহিশালা গ্রামের মৃত তমিজউদ্দিন ও মৃত দানেচ মাতুব্বরের নিকট থেকে জমিটি ক্রয় করেন নিরাঞ্জন কুন্ডুর পিতা গৌরমহন কুন্ডু। পৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিটির প্রকৃত মালিক নিরাঞ্জন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমিটি দখল করেছে হিরু মুন্সি। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে হিরু মুন্সিকে বিষয়টি সমাধানের লক্ষে দুই দফা সালিশ বৈঠকের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু সে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হয়নি।
    
এ ব্যাপারে হিরু মুন্সি বলেন, ২০১১ সালে মহিশালা গ্রামের মৃত তমিজউদ্দিনের ওয়ারিশ হাফেজ গং এর থেকে ৫১ শতাংশ জমি আমি ক্রয় করেছি। নিরাঞ্জন কুন্ডুর কাছ থেকে বাকী ৫১ শতক বায়না সূত্রে দখলে যাই। পরবর্তীতে তারা জমিটি লিখে দেয়নি।
    
নিরাঞ্জন কুন্ডুর স্ত্রী অর্চনা কুন্ডু জানান, আমার স্বামী দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর মানসিক ভারসাম্যহীন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হিরু মুন্সি আমাদের সম্পত্তি দখল করে। আমরা সংখ্যালঘু এবং অসহায় হওয়ায় তার সাথে পেরে উঠি নাই। বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দেওয়ায় হিরু মুন্সির লোকজনের ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা কোন বায়না করে দিই নাই জমি। ভূয়া বায়না নামা বানিয়ে তারা বিভিন্ন কর্কান্ড করার চেষ্টা করছে। 
   
বোয়ালমারী থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহামুদ হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় দু’পক্ষকে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেছি। হিরু মুন্সি ৫১ শতক জমির কাগজপত্র দেখিয়েছে বাকী জমির কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অধিকতর যাচাই বাছাই করে অচিরেই বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here