ভোলা- ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে দ্রুতগামী নৌ-যান গ্রিন লাইন সার্ভিস। - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৭, ২০১৯

ভোলা- ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে দ্রুতগামী নৌ-যান গ্রিন লাইন সার্ভিস।

এ,কে এম গিয়াসউদ্দিন[ভোলা]ঃ
ভোলা-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে দ্রুতগামী নৌ-যান গ্রিন লাইন সার্ভিস। এ সার্ভিসটি চালুর মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো নৌপথে দিনের বেলায় রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবে ভোলাবাসী। এতে সময় এবং ভোগান্তি কমে যাবে এ পথে চলাচলকারীদের। সার্ভিসটি চালু হলে জরুরি প্রয়োজনে এ অঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন।

গ্রিন লাইন সার্ভিস চালুর দাবি ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের। যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ খবরে লঞ্চে যাতায়াতকারী অনেক যাত্রীই সন্তুস্ট প্রকাশ করেছেন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুম আলম ছিদ্দিক  আমাদের প্রতিনিধি কে জানান ভোলা-ঢাকা রুটে গ্রিন লাইন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট পয়েন্ট ফেরীঘাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই এ সার্ভিস দু’টি চালু হবে।

তিনি আরো জানান, প্রতিদিন ভোলার ইলিশা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এবং ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাবে গ্রিন লাইন। এতে করে দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবে দক্ষিণাঞ্চেল মানুষ।

আগে ভোলার মানুষকে ঢাকায় যেতে হতো রাতের বেলায়।গ্রিন লাইন চালুর লক্ষে ইলিশায় একটি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি টার্মিনাল স্থাপন করবে।

এদিকে, গ্রিন লাইন চালু হলে সময় অনেক কম লাগবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিএ উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ভোলার খেয়াঘাট থেকে ঢাকার নৌ পথের রুটে দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। সেখানে লঞ্চ যোগে যেতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টা। কিন্তু গ্রিন লাইন যাবে ইলিশা ঘাট থেকে সেখানে ৩০ কিলোমিটার কমবে। তাই লঞ্চ থেকে কমপক্ষে ৪/৫ ঘণ্টা সময় কম লাগবে রাজধানীতে পৌঁছাতে।

ভোলা থেকে নৌ-পথে লক্ষ্মীপুরের দুরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সেখানে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মতিরহাট এলাকায় ফেরীঘাট স্থাপন করা হলে সেখানে দুরত্ব কমে যাবে ১২ কিলোমিটার।

জানা গেছে, রাজধানীর সঙ্গে ভোলার নৌ-পথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন এ পথে জেলা সদরসহ জেলার সাত উপজেলা থেকে ১৪টি লঞ্চ চলাচল করে। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করে। ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায়। নৌযানের ওপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের যাত্রীরা।

লঞ্চ যাত্রীরা জানান, লঞ্চের পাশাপাশি দিনের বেলায় গ্রিন লাইন চালু হলে একদিকে যেমন যোগাযোগ মাধ্যম সহজ হবে অন্যদিকে সময়ও বাঁচবে। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here