ফরিদপুর প্রতিনিধি :
জমকালো এক গছালো আয়োজন ছিলো নাবালিকা এক শিক্ষার্থীর বিয়েতে। বরসহ বরযাত্রীরা বিয়ে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপস্থিত বিয়ে বাড়ি। এরই মধ্যে বিয়ে বাড়ি গিয়ে বাগড়া দিয়ে বসলো ফরিদপুরের সদর উপজেলার ইউএনও। তিনি নাবালিকা সেই কন্যার বিয়ে বন্ধের হস্তক্ষেপে কারনে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল শহরতলির ব্রাহ্মণকান্দা এলাকার নাবালিকা এক শিক্ষার্থী। রোববার বিকেলে এই বাল্য বিয়ে বন্ধের ঘটনা ঘটে। বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া এই শিক্ষার্থী পড়ালেখায় মনোনিবেশ করবে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোববার বিকালে নাবালিকা ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা আনুষ্ঠানিক সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেন। বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মাসুম রেজা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীবের হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়।
পরে বর পক্ষ ও কনের বাবাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ২০১৭ এর ৫ (৮) ধারায় উভয় পক্ষকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধ করে এবং মেয়ের পূর্ন বয়স না হওয়া পর্যন্ত তার অভিভাবক তাকে বিয়ে দিবে না এই মর্মে মুসলেকা দিয়ে বর ও কনে পক্ষকে স্ব-স্ব অভিভাবক নিয়ে যায়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীবকে নির্দেশ প্রদান করি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য। তিনি বলেন তার সময়ে কোন বাল্য বিয়ের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে তার প্রশাসন সদা তৎপর থাকবে।
No comments:
Post a Comment