ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা-মাওয়া মহাসড়কের বগাইল সেতুর রাস্তার পাশ থেকে শহিদুল ইসলাম ওরফে ট্যারা মানিক(৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল আটটার দিকে ভাঙ্গা থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, সে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার কুতুবপুর গ্রামের রতন মোল্লার ছেলে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ ও এই ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভাঙ্গা থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় পথচারীরা ভাঙ্গা-মাওয়া মহাসড়কের বগাইল সেতুর রাস্তার পাশ থেকে সকালে শহিদুল ইসলাম ওরফে ট্যারা মানিকের লাশ পরে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে এসআই বাকেরসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। এসময় লাশের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে তার স্বজনদের কাছ থেকে পরিচয় সনাক্ত করা হয়। পুলিশ আরও জানায়, শহিদুল ইসলাম ওরফে ট্যারা মানিক নামে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক আইনে বেশ কিছু মামলা রয়েছে।
ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউর ইসলাম বলেন, আমরা লাশের মাথায় ও মুখে কালো রং জাতীয় কিছু দাগ দেখতে পেয়েছি। তবে কোন গুলির চিহৃ নেয় শরীরে। এছাড়া গলায় একটি মোটা দাগ রয়েছে।
এদিকে কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন জানান, কানা মানিক ওরফে ট্যারা মানিকের নামে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদক আইনে ৭/৮টি মামলা রয়েছে। যতদূর জানি সে বর্তমানে পলাতক অবস্থায় ছিলো।
মানিকের মা বেলী বেগম ও পরিবারের সদস্যদের দাবী গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে ফরিদপুর শহরের বাদামতলী এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে উজ্জ্বল ও সেখ সাহিন নামে পরিচিত দুই যুবক মোবাইল কল দিয়ে বাড়ি থেকে দাওয়াতের কথা বলে তাকে ডেকে নেয়। পরে তার ছেলেকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। তিনি সন্তান হত্যার বিচার দাবীসহ দোষিদের শাস্তির দাবি করেন।
No comments:
Post a Comment