মেহেরপুরে বর্ধিত সভার নামে রঙ্গলীলা
মেহের আমজাদ, মেহেরপুর
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপিকে নিয়ে কটুক্তি,মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ। পুনরায় কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার হুশিয়ারি দেন বিক্ষোভ মিছিলের শ্লোগানে ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা।
গতকাল সোমবার বিকালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুলের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহীদ শামসুজ্জোহা নগর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল বলেন, গত ৫ ফেব্রয়ারি শহর আওয়ামীলীগ বর্ধিত সভার নামে রঙ্গলীলার আয়োজন করেছিল। সেখানে মুজিববর্ষ পালনের কথা না বলে মেহেরপুরের কিংবদন্তি নেতা মরহুম ছহিউদ্দীনের সুযোগ্য পুত্র মাটি ও মানুষের নেতা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নামে কটুক্তি করা হয়েছে।বর্ধিত সভার নামে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নামে যে ধরনের কটূক্তি করা হয়েছে সেটি অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক। অবিলম্বে এই ধরনের বক্তব্য যদি প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেবো। ফরহাদ হোসেন একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের যোগ্যতায় প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমরা মেহেরপুরবাসি সবাই জানি ছহিউদ্দিন পরিবারের সন্তানরা কেমন। ভবিষ্যতে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একটি মহল তা বাধা গ্রস্থ করতে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তা আমাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদু বলেন, মেহেরপুর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যদি ছহিউদ্দিন না হয় তবে কে? মেহেরপুরে যদি একটি পরিবার স্বচ্ছ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে সেটি হলো ছহিউদ্দিন পরিবার। গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, মেহেরপুর জেলার চারটি যুবলীগের ইউনিট প্রতিমন্ত্রীর সাথে আছে। গত ৫ ফেব্রয়ারি প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে সেটি কোন আওয়ামীলীগের নেতা বলতে পারেনা। তাদের উচিৎ এই মূহর্তে ফরহাদ হোসেনের কাছে মাফ চাওয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল,শহর যুবলীগের সভাপতি শেখ কামাল,সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম,সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন,গাংনী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিক কামাল পলাশ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মতিয়ার রহমান,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে আজাদ সাগর প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment