জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে মেহেরপুর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২০

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে মেহেরপুর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ


মেহের আমজাদ, মেহেরপুর-
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর নামে কটুক্তি করার প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলটি মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুস সালাম বাধন এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা অওয়ামীলীগের সদস্য খ. ম. হারুন ইমতিয়াজ বিন জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, আমি রেজাউল হত্যা মামলায় একজন স্বাক্ষি ছিলাম কিন্তু আমাকে স্বাক্ষি দেওয়ানো হয় নাই। উনি বলেছিলেন আপোষ করে নিয়েছে। সেই সময় দায়ীত্বে ছিলেন আজকের শহর আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সভাপতি।  রেজাউলের রক্ত বিক্রী করে টাকা গ্রহন করে, কিন্তু সেই টাকা রেজাউলের পরিবারকে দেওয়া হয় নাই। এটি আজ থেকে ২৮ বছর আগে ৯২ সালের ঘটনা। রেজাউল চত্বরের টাকায় তিনি জামায়াত-বিএনপি‘র সাথে আপোষ মিমাংসা করে। সেই সময়ের দুর্লভ ছবি এসএম কামালের কাছে আছে। তিনি ছাত্রলীগটাকে ধংস করে দিয়েছেন। আওয়ামীলীগ করতে হলে নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আওয়ামীলীগ করতে হবে এটাই আওয়ামীলীগের বৈশিষ্ট। সমাবেশে সভাপতি‘র বক্তব্যে আবদুস সালাম বাধন বলেন, গত ৫ তারিখে শহর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম ছহিউদ্দীনের নামে কটুক্তি করা হয়েছে,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির নামে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে, আরো নেতৃবৃন্দর নামে বাজে কথা বলা হয়েছে। আপনারা বলেছেন আপনারা ত্যাগী নেতা, ২০১৪ সালে আপনি কি করেছেন ? জননেত্রী শেখ হাসিনা অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে নৌকার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাঠিয়েছিলেন আর আপনি তার বিরুদ্ধে ভোট করেছিলেন। আপনাদের ত্যাগের কথা কি জননেত্রী শেখ হাসিনা জানেনা? তাহলে কেন ফরহাদ হোসেনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। সভাপতি বানানো হয়েছে। ফরহাদ হোসেনকে দমিয়ে রাখা যাবেনা, এর আগে যখন মিছিল করেছিলেন তিনি মন্ত্রী হয়ে গেছেন। আবার যদি কিছু করেন তাহলে দেখবেন অন্য কিছু হয়েছে। আসেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে এই মেহেরপুরের দায়ীত্ব দিয়েছেন তার ছায়া তলে এসে আগামীতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীককে সুসংগঠিত করি। আওয়ামীলীগকে কলঙ্কিত করবেন না ।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুলকারনাইন,সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আদিব হোসেন আসিফ, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ, মুজিবনগর উপজেলা সভাপতি হেলাল উদ্দিন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব,ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন, ইমাম হাসান, ইমন গাজী, প্লাবন , সোহাগ প্রমুখ। এ ছাড়াও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৫ ফেব্রয়ারি শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন,জেলা প্রশাসক আতাউল গনি সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, প্রতিবাদ সমাবেশে ওই সব বক্তব্যর  তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

Post Top Ad

Responsive Ads Here