চরভদ্রাসন প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা গাজীরটেক ইউনিয়নের চরসুলতানপুর গ্রামে শুক্রবার বিকেলে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জে¦র ধরে আপন দেবর মৃত শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে শেখ ইদ্রিস (৪৫) সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে নিয়ে বড় ভাবী দেলোয়ারা বেগম (৪০) কে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার সন্তানের জননী নির্যাতিত গৃহবধু সারা শরীরে ক্ষতের চিহ্ন নিয়ে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানার এসআই খাইরুল ইসলাম জানান, “ আমি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন গৃহবধুকে পরিদর্শন করেছি। নির্যাতিত গৃহবধু থানায় অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে”।
শুক্রবার সন্ধায় হাসপাতাল বেডে চিকিৎসাধীন গৃহবধু জানায়, কিছুদিন আগে তার স্বামী মোঃ ইব্রাহিম আরেক ভাই শেক লিয়াকতের কাছে দেড় লক্ষ টাকা মূল্যমানের জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রি টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে সে জানায়। একাধিক বার এ পাওনা টাকা চাইতে গেলে দেবররা ভাবীর উপর আগে তেকেই হিংস্র হয়ে ছিল।
ঘটনার দিন নির্জন বাড়ীতে দেবর শেক ইদ্রিস ও শেখ ইলিয়াছ সহ ৮/১০ জনের সংঘবদ্ধ দল ঘরে ঢুকে ভাবীকে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে মারতে বাড়ীর পিছনে ঝোপের আড়ালে নিয়ে একটি মহেগনি গাছের সাধে বেঁধে লাঠী দয়ে এলোপাথারী পেটাতে থাকে। পাষন্ডরা গৃহবধুর বুকে একাধিক লাথি মারার পর সে অচেতন হয়ে পড়ে বলেও জানায়। প্রায় এক ঘন্টা পর গৃহবধুর জ্ঞান ফিরে আসলে স্থানীয়দের সহায়তায় সে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়।
অবশ্য শুক্রবার সন্ধায় জমি ক্রেতা এক দেবর শেখ লিয়াকত হোসেন নির্যাতনের ঘটনা অস্বিকার করে বলেন, “ ঘটনার দিন সকালে স্থানীয় মাতুব্বরা শরীকানা জমি পরিমাপ করে খুটি পুতার পর দুপুরে তার ভাবী জমির আইলের খুটি উঠিয়ে ফেলছিল। এ নিয়ে দেবরদের সাথে ভাবীর ঠেলা ধাক্কার ঘটনা হয়েছে”।
No comments:
Post a Comment