কলেজ ছাত্রীর ফেসবুক পোষ্ট দেখে চাল-ডাল নিয়ে হাজির ডিসি’র প্রতিনিধি দল - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Thursday, April 02, 2020

কলেজ ছাত্রীর ফেসবুক পোষ্ট দেখে চাল-ডাল নিয়ে হাজির ডিসি’র প্রতিনিধি দল


সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর থেকে ::

কদিন আগেই সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দিল আফরোজ শ্রাবণী ফরিদপুরের ডিসি’র ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ “মিট দ্য ডিসি” অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। তখন ডিসি’র কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেয়ে ছিলেন দেশের জন্য কিছু করতে হবে যার যার অবস্থান থেকে। আর সেই কথাকে স্মরণ করে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় কর্মহীন হয়ে পড়া ১০টি অভুক্ত পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে ছিলেন ডিসি অতুল সরকারকে ট্যাগ করে। এরপর ডিসি সেই পোষ্ট দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা করলেন সেই ১০টি অভুক্ত পরিবারের খাদ্য সহায়তা।  

বুধবার দিবাগত রাত ১২টার সময় শহরতলির বায়তুল আমান এলাকার আমিন দোকান গ্রামে ডিসি’র প্রতিনিধি দল পিডব্লিউও এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যান। এসময় তারা ১২টি পরিবারের হাতে দশ কেজি চাউল, এক কেজি ডাউল, এক কেজি আলু, এক কেজি লবন, এক লিটার সয়াবিন তৈল ও একটি লাক্স সাবান তুলে দেন। 

এ ব্যাপারে প্রতিনিধি দলে থাকা বিএফএফ এর নির্বাহী পরিচালক আনম ফজলুল হাদি সাব্বির বলেন, রাতে ওই পোষ্ট দেখে ডিসি স্যার আমাদের আহবান জানান রাতের মধ্যেই কিছু করতে পারি কিনা। ডিসি স্যারের আহবানে  পিডব্লিউও এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে আমরা সেখানে যায়। এরপর সেখানে থাকা ১২টি পরিবারের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেয়া হয়। তিনি বলেন স্যার পোষ্ট দেখে এত দ্রুত ওই রাতেই কিছু করার অনুভব করেছেন এটা আসলেই আমাদের জন্য একটা বিরাট উদাহরন।

নিচে দেয়া হলো সেই পোষ্টটি :

“আসসালামুআলাইকুম, স্যার। আমি দিল আফরোজ শ্রাবণী। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।

আমি ৬ষ্ঠ "মিট দ্য ডিসি" অনুষ্ঠানে আপনার একজন প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি আমিন দোকান, উত্তর সাদিপুর, বায়তুল আমান।

সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ করাল গ্রাসের প্রভাব আমাদের এই এলাকাতে গভীরভাবে পড়েছে। এখানে বেশকিছু হতদরিদ্র পরিবার বাস করে এদের মধ্যে ১০টি পরিবারের অবস্থা খুবই করুণ। এই ১০টি পরিবারের মধ্যে সত্তরোর্ধ্ব ৩জন, মূক ও বধির প্রতিবন্ধী ১জন, ১জন কোমায় আছেন বাকিরা পিতৃহীন এবং অসহায়।”



No comments: