সময় ডেস্ক:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তিন সন্তানের মা জেসমিন আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার পাচুঁয়া গ্রামে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেসমিনের স্বামী মো. স্বাধীন মিয়া ও ভাসুর ইউপি সদস্য বাবুল পলাতক রয়েছেন।
স্বাধীন মিয়া ও জেসমিন দম্পতির প্রাপ্তবয়স্ক দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছোট ছেলে মো. হবী প্রবাসী, বড় মেয়ে মোছা. শাহীনকে বিয়ে দিয়েছেন। স্বাধীন মিয়া প্রায়ই জেসমিনকে মারধর করতো। গত তিন মাস আগে স্বাধীন মিয়া ও তার ভাই বাবুল জেসমিনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। জেসমিন তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। একমাস পর সুস্থ হলে পারিবারিকভাবে মীমাংসার পর জেসমিন আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে। জেসমিন স্বামীর বাড়িতে আসলে স্বামী স্বাধীন মিয়া আবারো জেসমিনের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। গত সোমবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে লাঠি ও ইট দিয়ে জেসমিনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এরপর মঙ্গলবার ভোরে জেসমিনের বড় ছেলে নবী, নবীর চাচাত ভাই সুজন ও চাচি রেনু আরা জেসমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার বাড়ি নিয়ে আসেন। জেসমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নবী বুধবার সকালে বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় তার মাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে জেসমিনের মৃত্যু হয়।
জেসমিনের ভাই রুবেল ফকির জানান, তার বোনকে তার স্বাধীন মিয়া ও বাবুল মেম্বার প্রায়ই মারধর করতো।
গফরগাঁও থানার এসআই খায়রুল ইসলাম জানায়, জেসমিনের হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায়ও সামান্য দাগ আছে।
গফরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মির্জা মাজহারুল আনোয়ার বলেন, জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাকরলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment