ফরিদপুরের বাজার অস্থিতিশীল করতেই ১২’শ বস্তা চাল মজুত - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জুন ২২, ২০২০

ফরিদপুরের বাজার অস্থিতিশীল করতেই ১২’শ বস্তা চাল মজুত


 

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

দেশে চলমান দূর্যোগকে সামনে রেখে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে ১২’শ বস্তা চাল গুদামজাত করে রাখে বরকত ও রুবেল বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানাগেছে। বর্তমানে এই মামলায় তারা দুভাই রিমান্ডে রয়েছেন চারদিনের।   

 

পুলিশ জানায়, হাজার হাজার কোটি টাকার দূর্ণীতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ নানা অপরাধে গত ৭ জুন রবিবার রুবেল-বরকতকে শহরের বদরপুরের এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় রুবেল ও বরকতের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাদের কাছ থেকে দুটি শর্টগান, ৫টি বিদেশী পিস্তলসহ ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮১ রাউন্ড গুলি, বিদেশী মদ, বিদেশী মুদ্রা, ২৯ লক্ষ টাকা, ৬০ হাজার কেজি চাউল জব্দ করা হয়। পরবর্তিতে পুলিশ একটি অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এ রিমান্ড শেষে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সুবল সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় পাঁচ দিন, একটি মাদকের মামলায় তিনদিন রবিবার আবার চতুর্থ দফায় চাল ও বিশেষ আইনে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। 

 

আরো জানাযায়, বৈশিক দূর্যোগে বাজারের চালের দাম অস্থিতিশীল করতে রুবেল ও শহর আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক বরকত হাজার হাজার বস্তার চাল গুদামজাত করে। এ সকল চালের বস্তার মধ্যে অধিকাংশ বস্তা হত দরিদ্রদের দেওয়া সরকারের ত্রানের চাল ছিল বলে ধারনা করছে অনেকে। প্রতিটি বস্তায় সরকারী সিলযুক্ত ২০১৩ সালের বলে লেখা রয়েছে। 

 

ইদ্রিস নামে একজন জানান, করোনা সময়ে একটি গোডাউনে কি ভাবে এত চাল থাকে এটাই আমাদের প্রশ্ন। তারা চাল মজুদ করেনি তারা গরিবের হক গুদামজাত করে রেখেছিলো। তিনি বলেন, আমরা চাই খাদ্য অধিদপ্তরের সিল যুক্ত এই চালের ব্যাপারে একটি সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। 

 

ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা বলেন, জব্দকৃত চাল সরকারী নয়। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বস্তাগুলো খাদ্য অধিদপ্তরের তবে দূর্যোগ সময়ে এতো চাল মজুদ করা বেআইনি। 

 

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো, আলিমুজ্জামান বলেন, রুবেল ও বরকতকে আটকের পর জব্দকৃত চালের বস্তার মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের অনেক বস্তা ছিল। এ ব্যাপারে একটি মামলা করা হয়েছে। তারা বাজারকে অস্থিতিশীল করতেই চাল মজুদ করেছিল। আর এ ব্যাপারে একটি মামলা করা হয়েছে। আর এই মামলায় তারা দুভাই এখন রিমান্ডে রয়েছেন বলেও তিনি জানান। 

 

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, এত চাল মজুত করা বেআইনি। সরকারকে বিপদে ফেলতে চক্রান্ত করা হচ্ছে কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে চাল গুদামজাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এসময় তিনি প্রাকৃতিক দূর্যোগ কালে জব্দকৃত চাল হত দরিদ্রদের মাঝে বিতরনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ রাখেন। 

 

স্থানীয়রা জানান বরকত ও রুবেলের ওই গোডাউন গুলোতে আরও অধিক চাল ছিলো যা দুদিন আগে সরিয়ে ফেলা হয় ট্রাকে করে।  



Post Top Ad

Responsive Ads Here