পিতা-পুত্র খুন; ছিনতাই করা ট্রলারসহ তিন জন গ্রেফতার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Monday, July 06, 2020

পিতা-পুত্র খুন; ছিনতাই করা ট্রলারসহ তিন জন গ্রেফতার


সময় সংবাদ ডেস্ক// 
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কবাই এ নির্মমভাবে খুন হওয়া পিতা-পুত্রের তিন ঘাতককে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া ট্রলারটি।

রবিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের তেলঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার তিন জন হলেন, বাদল হাওলাদার (৩২), সানি হাওলাদার (১৬) ও শাহিন খান (২২)। তাদের সকলের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল গ্রামে।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ কেরানীগঞ্জে তিনজন গ্রেফতার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা খুনের সঙ্গে জড়িত কি-না তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

কেরানীগঞ্জ থানায় উপস্থিত অ্যাডভোকেট আল আমিন রিজভী জানান, গ্রেফতার ওই তিনজন ছিনতাই করা ট্রলারটি বিক্রির জন্য কেরানীগঞ্জ গিয়েছিল। ট্রলার ছিনতাইয়ের জন্য তারা পিতা-পুত্রকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে।

তাদের বরিশালে নিয়ে যাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত ব্রিফিং করার কথা জানিয়েছে পুলিশের কর্মকর্তারা।

এদিকে, বরিশাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় পিতা-পুত্রের লাশ পিরোজপুরের নাজিরপুরের কলারদোয়নিয়া গ্রামে নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। ওই রাতেই তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর রাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহতদের বাড়িতে থেকে জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ করেন। উপার্জনক্ষম দুই সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র ওই পরিবারটি।

হেলাল উদ্দিনের বড়বোন আকলিমা জানান, তার ভাই হেলাল উদ্দিন বর্ষা মৌসুমে ‘চাই’ (মাছ ধরার জন্য বাশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি ফাঁদ) বিক্রি করে এবং অন্য সময়ে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতো। বড় ছেলে ইয়াসিন নিহত হওয়ার পরও তার আরও ৪টি সন্তান রয়েছে।

কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হাসনাত বলেন, নিহত পিতা-পুত্রের আয়ই পরিবারটি চলতে। তারা খুন হওয়ায় পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়লো।

গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের পান্ডব নদী সংলগ্ন চরলক্ষ্মীপাশায় ঝোপঝাড়ের মধ্যে ইয়াসিন উদ্দিনের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। পরদিন শনিবার সকাল ৯টার দিকে অদূরে পাওয়া যায় ইয়াসিনের বাবা হেলাল উদ্দিনের লাশ। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল। তারা মাছ ধরার ‘চাই’ বিক্রি করতে ট্রলার নিয়ে কবাই গিয়েছিলেন।

No comments: