নারী পাচার চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

নারী পাচার চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার





সময় সংবাদ ডেস্ক//

ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। এরা অসামাজিক ও অনৈতিক কাজের জন্য নারীদের জোর করে ভারতে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করতো।


সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার তাদের গ্রেফতারের কথা জানান। 


গ্রেফতাররা হলো- মো. শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ, আক্তারুল ও মো. বাবলু।


পাচারকারীদের কৌশল প্রসঙ্গে শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, এ চক্রে গ্রেফতার শাহীন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচারের উদ্দেশে নারীদের গাড়িতে করে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতো। মূলত সে গাড়ি চালক। যশোরের সীমান্ত এলাকায় পাচারের উদ্দেশে থাকা চক্রের সদস্য রফিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে তার জিম্মায় রাখতো।  এরপর রফিকুলের আরো এক সহযোগী বিপ্লব সেখান থেকে যশোর সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিতো। সেখান থেকে নারীদের পাচারের জন্য নৌকায় করে পারাপার করার কাজ করতেন বাবলু।


আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত চক্রটি অন্তত ২০ নারী ভারতে পাচার করেছে। তারা নারীদের মালয়েশিয়া ও ভারতে চাকরি দেয়ার কথা বলে যশোর সীমান্ত এলাকায় রফিকের বাসায় নিয়ে রাখতো। এরপর তারা ভারতে তাদের পাচার করতো। ভারতের রাজকোট এলাকায় পাচার করা হতো বলে জানা গেছে।


ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জানান, ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চেতনানাশক ইনজেকশন দেয়া হতো। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো চক্রের সদস্যরা। হাসপাতালের রিপোর্টে ভুক্তভোগীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এর আগে এ চক্রের মূলহোতা জান্নাতুল ওরফে জেরিন ও মহসিনুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার বাবুকে গ্রেফতার করেছি। তারা ঢাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। নারীদের টার্গেট করে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ভারতের দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করতেন।


মানবপাচারের কথা স্বীকার করে চক্রের মূলহোতা জান্নাতুল ও প্রতীক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের এ পর্যন্ত মোট ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাইকে গ্রেফতার করে মূল উৎপাটন করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, এ চক্রের সঙ্গে কোনো সরকারি সংস্থার লোকের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।



Post Top Ad

Responsive Ads Here