চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না: মাসুদ রানা প্রধান - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, নভেম্বর ০৫, ২০২৫

চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না: মাসুদ রানা প্রধান

চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না: মাসুদ রানা প্রধান
চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না: মাসুদ রানা প্রধান


নিরেন দাস, জয়পুরহাট:

ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরার পথে জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ রানা প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলার বাঁশের ব্রিজ এলাকায় এই বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন ঘোষণার সময় মাসুদ রানা প্রধান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বাঁশের ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী ফুলেল মালা পরিয়ে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ. ওয়াহাব, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. হেনা কবির, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জয়পুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান মোহাম্মদ উজ্জ্বল, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব এটিএম শাহ নেওয়াজ কবির শুভ্রসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।


নেতাকর্মীরা প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল ও ২০টির বেশি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের বিশাল বহর নিয়ে মাসুদ রানা প্রধানকে শহরে নিয়ে যান। গাড়িবহর জয়পুরহাটে প্রবেশ করলে বিভিন্ন স্থানে দলীয় কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ ও স্লোগান দেন।


দলীয় নেতারা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোজাহার আলী প্রধানের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে মাসুদ রানা প্রধানের প্রতি দলের নেতাকর্মীদের গভীর আস্থা রয়েছে। তারা বলেন, “সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে হবে, তাহলেই দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হবেন।”


জয়পুরহাটে পৌঁছে মাসুদ রানা প্রধান শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, প্রয়াত এমপি মোজাহার আলী প্রধান এবং জুলাই আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।


আবেগঘন কণ্ঠে মাসুদ রানা প্রধান বলেন, “আমি অনেক জায়গায় বক্তব্য দিয়েছি, অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে আজ এখানে পৌঁছেছি। যদি কোথাও ভুল-ক্রুটি হয়ে থাকে, ক্ষমা করবেন। গত ১৭ বছরে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। আমার বাবাকে হজে যেতে দেওয়া হয়নি, কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল। অনেক সহকর্মীকে হারিয়েছি, অনেকে পঙ্গু হয়েছেন।”


তিনি আরও বলেন, “আমি জয়পুরহাটকে শান্তির জয়পুরহাট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কোনো সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজি চাই না। চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না, ইনশাল্লাহ্। আজকে আপনারা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সেই ভালোবাসার ঋণ আমি কাজের মাধ্যমে শোধ করতে চাই।”


Post Top Ad

Responsive Ads Here