দেশ ভ্রমণে নতুন দিগন্ত: তরুণদের উদ্যোগে সফল ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, নভেম্বর ০৫, ২০২৫

দেশ ভ্রমণে নতুন দিগন্ত: তরুণদের উদ্যোগে সফল ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’

দেশ ভ্রমণে নতুন দিগন্ত: তরুণদের উদ্যোগে সফল ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’
দেশ ভ্রমণে নতুন দিগন্ত: তরুণদের উদ্যোগে সফল ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’


আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ভ্রমণ মানেই কেবল ধনীদের বিলাসিতা—এই প্রচলিত ধারণা বদলে দিতে ফরিদপুর অঞ্চলের চার তরুণ উদ্যোক্তা হাতে নিয়েছেন এক অনন্য উদ্যোগ। সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে থেকে সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে দেখার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ভ্রমণ সংস্থা ‘পায়ে পায়ে বাংলাদেশ ট্রাভেলস’।


চলতি বছরের ১ জুলাই চার বন্ধু—মো. শামীম খান, মো. আল-আমিন, মুক্তাদির রহমান ও সিয়াম আহমেদ—এর হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তারা টাঙ্গুয়ার হাওর, কক্সবাজার এবং সাজেক ভ্যালি-তে চারটি সফল ট্রাভেল ইভেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় ভ্রমণপিপাসুদের আস্থা অর্জন করেছেন।


প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—স্বল্প বাজেটেও যেন মানসম্মত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তাদের প্যাকেজ মূল্য প্রমাণ করেছে, “সাশ্রয়ী ভ্রমণও হতে পারে আরামদায়ক ও উপভোগ্য।”


বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি কর্ণফুলী এবং এমডি-১২ আউলিয়া জাহাজের অনুমোদিত এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এর ফলে তাদের সেবার মান আরও উন্নত ও পেশাদার হয়েছে। ফরিদপুর ছাড়াও মাগুরা, কুষ্টিয়া, খুলনা, নড়াইল ও ঢাকা থেকেও ভ্রমণপ্রেমীরা ইতোমধ্যে তাদের সেবা নিয়েছেন।


প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের প্রতিটি ইভেন্ট শতভাগ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এবং ফ্যামিলি, কাপল ও সিঙ্গেল ট্রাভেলাররা ছিলেন সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট।


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করা মো. মহসিন শেখ বলেন, “এত কম খরচে সাজেকে গিয়ে আরামদায়ক হোটেলে থাকতে পারব ভাবিনি। খাবার, বাসের সিট, নিরাপত্তা—সবকিছুই ছিল দারুণ মানের।”


ভাঙ্গা উপজেলা থেকে এক কাপল ভ্রমণকারী জানান, “সাজেক ভ্রমণে বাম্বু চিকেন ও বারবিকিউ-এর আয়োজন ছিল অসাধারণ। বাজেট ট্রিপ হলেও কোনো দিকেই মানের ঘাটতি অনুভব করিনি।”


আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রসাদ রায় বলেন, “আমি সিঙ্গেল ট্রাভেলার হিসেবে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু টিমের সদস্যদের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় মনে হয়েছে আমি একদম পরিবারের সঙ্গেই ভ্রমণ করছি।”


প্রতিষ্ঠাতা মো. শামীম খান বলেন,“আমাদের লক্ষ্য ছিল—বাজেট যেন কারো ভ্রমণের পথে বাধা না হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দেখছি ফরিদপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন। ফ্যামিলি থেকে সিঙ্গেল ট্রাভেলার—সবাই আমাদের সঙ্গে ভ্রমণে আনন্দ পাচ্ছেন।”




Post Top Ad

Responsive Ads Here