হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের বাহুবলে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে স্বজনপ্রীতির উঠেছে এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন টিসিবির পণ্য না পেয়ে অনেকেই খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখে তারা অল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে আসেন,কিন্তু লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তাদেরকে মালামাল শেষ হয়ে গেছে বলে জানান ডিলার আব্দুল আউয়াল, এ নিয়ে বাহুবলের সর্বাত্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে গত বছর এভাবেই লোক দেখানোর কিছু মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়,এসময় মালামাল শেষ হয়ে গেছে বলে সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়, পরবর্তীতে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাহুবল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়, এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একটি দোকান থেকে টিসিবির প্রায় শত লিটার তেল জব্দ করা হয়, টিসিবির অবৈধ মালামাল রাখার দায়ে দোকান মালিককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন বাহুবল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খৃষ্টফার হিমেল রিছিল। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি টিসিবির ডিলার আব্দুল আউয়ালের আত্মীয় বলে জানা গেছে। গত রবিবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত দ্বিতীয় ডিলার মোঃ কাজল মিয়া টিসিবির পণ্য বিক্রি করেন ঐ দিন বিকাল প্রায় ৫ টার দিকে প্রথম টিসিবির ডিলার আব্দুল আউয়াল তালুকদার টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু করেন, কিন্তু যেখানে প্রকাশ্য টিসিবির পণ্য বিক্রির কথা ?
সেখানে বাহুবল টু মৌচাক রোডের মাঝামাঝি স্থানে একটি ঘরে অতি গোপনে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়, এসময় টিসিবির মালামাল না পেয়ে অনেকেই কালি হাতে ফিরে যেতে দেখা যায়।
এদিকে বাহুবল উপজেলার সর্বত্র একটি আলোচনা চলছে দিন মজুর থেকে সাধারণ মানুষরা সবাই মিলে সর্বোপরি চান যেন
বাহুবল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা যেমন করে বালু খেকুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন, তেমনি এই মহামারীর সুযোগে যারা তাদের স্বার্থের জন্য দূর্নীতি ও অনিয়ম করছে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে, বাহুবল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা তালুকদার জানান, এ বিষয়ে তিনি নিজে তদারকি করেছেন এবং ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।