জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের ২০টি সোনার বার লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক এসআইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফিরোজ আলম নামের ওই এসআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা(ডিবি) শাখায় কর্মরত।
মঙ্গলবার রাতে ফেনী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযান চালিয়ে ফিরোজকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মনপুরায় গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ব্যবসায়ীর সোনা লুটের সংশ্লিষ্টতায় তার নাম আসার পর অসুস্থতার ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান ফিরোজ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে ফিরোজকে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের গাড়ির গতি রোধ করেন ফেনী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তারা।
এ সময় নানা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আটকে রেখে গোপালের সঙ্গে থাকা ২০টি সোনার বার লুট করা হয়। ফিরোজ আলম অভিযুক্ত ফেনী ডিবির কর্মকর্তাদের তথ্য দিয়েছিলেন বলে জানান পিবিআইয়ের পরিদর্শক শাহ আলম।
এ ঘটনায় ১০ আগস্ট ফেনী সদর মডেল থানায় ডিবির পরিদর্শক সাইফুল ইসলামসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতির মামলা করেন ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস। এতে লুট হওয়া ২০টি সোনার বারের দাম প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৪ হাজার ৫৯৭ টাকা উল্লেখ করা হয়।
ওই দিন রাতেই ফেনী থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডিবির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসআই মোতাহার হোসেন, নুরুল হক ও মিজানুর রহমান, এএসআই অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করে। রাতেই পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের বাসা থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। বাকি পাঁচটি বার এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
ফেনী ডিবি পুলিশের ছয় কর্মকর্তাকে আদালতের আদেশে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বর্তমানে তারা ছয়জন ফেনী কারাগারে আছেন। এরমধ্যে মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের আদেশে ফেনী থানা থেকে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।