ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশের বাড়িতে প্রেমিকা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশের বাড়িতে প্রেমিকা

ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশের বাড়িতে প্রেমিকা
 ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশের বাড়িতে প্রেমিকা


ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ের সকল প্রস্তুত, রাস্তায় সাজানো সারি সারি গাড়ী। সকলেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে। গাড়ীতে চেপে আমন্ত্রিতরা যাবেন বর পুলিশ সদস্য শামীম আহাম্মেদ সম্রাটের জন্য নববধু আনতে। এমন এক আনন্দঘন মুহুর্তে যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত! আগন্তুক এক যুবতী প্রেমিকা দাবী করে পুলিশ কনস্টেবল শামিমের ঝিনাইদহের বাড়িতে এসে হাজির। বরযাত্রায় রণে বঙ্গ! উৎসুক জনতা যুবতীকে দেখতে ভীড় করতে লাগলো। বিয়ে বাড়ি এক বিব্রতকর পরিস্থিতি।


 ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা পাড়ায়। পুলিশ সদস্য শামীম আহম্মেদ সম্রাট ঝিনাইদহ জেলা শহরের আলহেরা পাড়ার ড্রাইভার বাবুল আক্তারের ছেলে। আর তার প্রেমিকা কুষ্টিয়ার ভাদালীডাঙ্গা গ্রামের শারমিন। ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি অভিযোগ করেন, শামীম আহাম্মেদ সম্রটা ২০১৮ সালে যখন কুষ্টিয়া পুলিশের সদস্য তখন থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। ফেসবুক ও মোবাইলে চলে প্রেম। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। মেয়েটি আরো অভিযোগ করেন, শামীম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুষ্টিয়াতে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে একাধীকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। বিয়ের কথা বললে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে এড়িয়ে যেতে থাকলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করি। অভিযোগ পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শামীম আহাম্মেদ সম্রটাকে বাগেরহাট জেলা পুলিশে বদলী করে। বাগেরহাট গিয়ে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে আবারো এড়িয়ে যেতে থাকে। এরপর পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দিয়ে বাড়ি এসে জানতে পারি হঠাৎ করেই শামীম বিয়ে করছে। 


খবর পেয়ে আমি ঝিনাইদহে সম্রাটের বাড়িতে চলে এসেছি। মেয়েটির অভিযোগ ঝিনাইদহে আসার পর শামীমের পরিবারের লোকজন গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে অন্ধকারে রেখে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা জানান, মেয়েটি মাস তিনেক আগেও বিয়ের দাবি নিয়ে শামীম আহম্মেদ স¤্রাটের বাড়ি এসেছিল। তখনও পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। শামীম আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো বলে ওই যুবতী হুমকী দেয়। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য শামীমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।


 ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, মানবাধিকার কর্মীদের সমন্বয়ে মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। তার অভিভাবকদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে শামীমের সঙ্গে তার প্রেমের কোন প্রমান দিতে পারেনি বলেও তিনি জানান।


 বিষয়টি নিয়ে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার একেএম আরিফুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া থেকে একটি মেয়ে এসে পুলিশ সদস্য সম্রটের বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে গেছে। কুষ্টিয়াতে ছেলেটির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তবুও আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি আরো গুরুত্ব সহকারে খোঁজ নিতে বলেছি।



Post Top Ad

Responsive Ads Here