সময় সংবাদ ডেস্কঃ
ধীরে ধীরে ব্যর্থতার অপর নামে পরিণত হচ্ছে বিএনপি। বিগত দেড় বছরে করোনার উছিলা দিয়ে আন্দোলন না করা, করোনার প্রভাব কমলেও লোকবলের অভাবে মাঠে না নামা, একাদশ সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে দলীয় ঢিলেমি, তৃণমূলে সাংগঠনিক ব্যর্থতা তথা রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়ী মনে করছে দলের একটি বড় অংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাদের বদলে হাইব্রিড ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে। কারণ হাইকমান্ডের পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যর কারণে দলের পরীক্ষিত নেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।
এক সময়ের বিএনপির একাধিক শীর্ষ ও প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ীদের কাছে বিএনপিকে বিক্রি করে দিয়েছেন কিছু লোভী সিনিয়র নেতা। টাকার কাছে যোগ্যতা ও দক্ষতা পরাজিত হয়েছে। যার কারণে দলটি রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সিনিয়র নেতাদের গাফলতি, পলায়নপর নীতি ও চতুরতার জন্য রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত ধুকছে বিএনপি।
তারা আরো বলেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকা অবস্থায় খালেদাপন্থী হিসেবে পরিচিত বিএনপির নেতাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল এবং তাদের দলে কোনো ভূমিকা ছিল না। অনেক নেতাই ম্যাডামের মুক্তি আন্দোলনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। নির্বাচনের সময়ও এসব নেতারা সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেনি বরং শুরু থেকেই হেরে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করেছেন। যার ফলে বিএনপির আজ এ পরিস্থিতি।
এদিকে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মতো নেতারা খালেদা জিয়াকে খুশি করতে দু-একটা বক্তব্য দেন টিভি-পত্রিকাতে। এরা বিএনপিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। দলের উন্নয়ন বাদ দিয়ে এরা নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
হতাশার সুরে দলের শীর্ষ এক নেতা বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে আজ আমরা হেরে গেছি। টাকার কাছে দল বিক্রি হয়ে গেছে। বিএনপির রাজনীতি এখন রাজনীতিকদের হাতে নেই। দলের ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে বিএনপিকে ব্যবহার করছে।