জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮০ পিস অবৈধ স্বর্ণের বারসহ সিভিল এভিয়েশনের এক নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিমানবন্দরের বাথরুম থেকে এই বার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা সংস্থা এবং শুল্ক গোয়েন্দার লোকজন ধাওয়া করে বেলাল উদ্দিনকে আটক করেন। তিনি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তাকর্মী। আটক স্বর্ণবারের ওজন ১০ কেজি, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। তবে কোন ফ্লাইট থেকে এই স্বর্ণের বার এসেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ পরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট এসেছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। এর যেকোনো একটি ফ্লাইটের যাত্রী এই স্বর্ণের বার এনেছেন।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বাথরুম থেকে এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মী বেলাল উদ্দিন দৌঁড়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এবং আমরা দৌঁড়ে তাকে ধরে ফেলি। এরপর তল্লাশি চালিয়ে তার কোমর থেকে ৮০টি স্বর্ণের বার আটক করা হয়। এগুলোর বাজারমূল্য ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মতো।
কাস্টমস জানিয়েছে, মূলত বিমানবন্দরের টয়লেট থেকে সন্দেহজনকভাবে বের হওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দা এবং এনএসআইকর্মীরা তাকে চ্যালেন্জ করলে বেলাল উদ্দিন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়। সাড়ে আটটা থেকে ৯টার মধ্যে বাংলাদেশ বিমান দুবাই থেকে, ওমান এয়ার মাস্কাট থেকে এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইন মাসকাট থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইট অবতরন করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের দুবাই ফ্লাইট থেকে এই স্বর্ণের বার এসেছে বলে ধারণা করছে শুল্ক গোয়েন্দা এবং গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। কারণ তাদের কাছে আগে থেকেই বাংলাদেশ বিমানেই স্বর্ণবার আসার তথ্য ছিল।
কাস্টমস বলছে, এখন তার বিরুদ্ধে একটি কাস্টমস বিভাগীয় মামলা এবং একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। তদন্তের পর এর সাথে আর কারা জড়িত বিস্তারিত জানা যাবে।
বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, বেলাল উদ্দিন আমাদের নিরাপত্তাকর্মী। ১৯৯৮ সালে তিনি অস্থায়ী হিসেবে কাজে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি স্থায়ী কর্মী হন। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
No comments:
Post a Comment