সময় সংবাদ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে পূজামণ্ডপে ভাঙচুর, ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার ৯ নেতাকর্মী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে গ্রেফতার হওয়া এসব নেতাদের ছাড়াতে তোড়জোড় শুরু করেছেন বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট ছাত্রনেতা নুর। আর এ কারণেই সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতারের পর নুর ফোন করেন চট্টগ্রাম পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক এবং কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দীনকে। তারা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সবাইকে গ্রেফতারের কথা জানালেও কর্মীদের ছেড়ে দিতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন নুর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নুরের দলের এসব নেতাকর্মীর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে পূজামণ্ডপে হামলা চালানো হয়।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, নুরের প্ররোচনায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে হামলা চালায়। তাদের কিছুই হবে না- মর্মে নুর তাদের হামলায় অংশ নিতে বলেন। এমনকি বলেন- যদি কারো কিছু হয় তাহলে বিষয়টি নুর নিজে দেখবেন।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরিকল্পনায় জামায়াত শিবিরের সঙ্গে নুরের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা নুরের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিষয়টি তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।
