জেলা প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটিতে কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেছে পরিবার। সোমবার রাতে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় অভিযোগটি করেন পূর্ণিমা চাকমার মামাতো ভাই পলাশ চাকমা।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমার এক আত্মীয় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এ ঘটনায় আগেই একটি অপমৃত্যু মামলা রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
পলাশ চাকমা বলেন, ২৯ অক্টোবর দুপুরে পূর্ণিমা চাকমার লাশ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেন মল্লিকা দেওয়ান ও অঞ্জলী চাকমা। পূর্ণিমা আত্মহত্যা করেছেন বলে অপপ্রচার চালাতে থাকেন তারা। পরে পূর্ণিমার গৃহকর্ত্রী মল্লিকা দেওয়ান ও নিকিতা দেওয়ানের কাছে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে চাই। কিন্তু তাদের রহস্যজনক উত্তর ও আচরণে বুঝতে পারি আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে অপপ্রচারের পর মল্লিকা দেওয়ান ও তার পরিবারের লোকজনকে আমাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা তো টাকা দিয়ে দফারফা করতে চাই না। টাকা দিয়ে তো বোনকে ফিরে পাব না। আমরা বোন হত্যার বিচার চাই। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিচার চাই।
২৯ অক্টোবর দুপুরে কলেজছাত্রী পূর্ণিমাকে অচেতন অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় কলেজছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা শুনে উধাও হয়ে যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা। ঘটনার পরদিন দুপুরে পূর্ণিমা চাকমার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ।
কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বগাখালী এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে। তিনি রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পড়ালেখার কারণে জেলা শহরের রাজবাড়ী এলাকার মল্লিকা দেওয়ানের বাসায় থাকতেন। পূর্ণিমাকে মল্লিকা দেওয়ানের বাসায় রাখার ব্যবস্থা করে দেন জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দা অঞ্জলী চাকমা (গান্ধী)। এ ঘটনার পর থেকে মল্লিকা দেওয়ান ও গান্ধী চাকমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।