জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদর উপজেলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর ও তার সোর্সকে ছুরিকাঘাত করে আসামি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তাজমিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরের ছোট কুমিড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. নাসিম। তিনি সদর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী শহর উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই)। তাকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
আরেকজন হলেন আব্দুল মান্নান। তিনি এটিএসআই নাসিমের সোর্স। তিনি সাবেক পুলিশ সদস্য। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এবং লাঠিসোটা দিয়েও পিটানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা নাসিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও সোর্স মান্নানকে আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাম গালে ছুরিকাঘাত ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ছোট কুমিড়া এলাকা থেকে ২৯ বছর বয়সী চাম্পা বেগম নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, চাম্পার কাছ থেকে দুই কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের দাবি, আটকের পর চাম্পা জানান তার স্বামী শয়ন শেখ মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। রোববার রাতে শয়নকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে ছোট কুমিড়া গ্রামে অভিযান চালায় এটিএসআই নাসিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় শয়নকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এর পরপরই তার ( শয়ন) স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় এটিএসআই নাসিম ও সোর্স আব্দুল মান্নানকে মারধর করা হয়। এবং শয়নকে ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা তাজমিলুর রহমান জানান, আহত আব্দুল মান্নান শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীম। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।