কালীগঞ্জে বিদ্রোহীতে নাস্তানাবুদ নৌকা বহিস্কারে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, নভেম্বর ২৪, ২০২১

কালীগঞ্জে বিদ্রোহীতে নাস্তানাবুদ নৌকা বহিস্কারে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ





ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী বিদ্রোহী হিসেবে ভোট করছেন। এ সব প্রার্থীর কারণে নৌকার প্রার্থীরা পড়েছেন ঝুকির মুখে। মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরে দলের বিদ্রাহী প্রাথীদের বহিস্কার করা হলেও ব্যতিক্রম শুধু কালীগঞ্জে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বলেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় বিষয়টি সুরাহা করা যাচ্ছে না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে সুন্দরপুর দুর্গাপুর, বারোবাজার ও রায়গ্রাম ইউনিয়নের তিন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ৮টি ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুমুল প্রতিদ্বন্দিতা গড়ে তুলেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিস্কার ও ভোটে জয়লাভ করলেও দলে আর জায়গা না দেবার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও কালীগঞ্জে বিদ্রোহ্রী প্রার্থীকের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুকম্পা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। আর এই কারণে ঝুৃকির মধ্যে পড়েছে নৌকার প্রার্থীরা। কালীগঞ্জের কোলা ইউনিয়নে আওয়ামলীগের সভাপতি আইয়ুব হোসেন নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করছেন। তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দলে নেতৃত্বের দুর্বলতা ও সহানুভুতি হিসেবে বিবেচনা করছেন তৃনমুলের কর্মীরা। জামাল ইউনিয়নে সলেমান বিশ্বাস ও সাবেক এমপি মান্নান গ্রুপের সেলিম নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। রাখালগাছি ইউনিয়নে যুবলীগ সভাপতি ইজ্জত আলী নৌকার বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। তিনিও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এছাড়া কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে আরেক যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, সিমলা রোকনপুরে রহমত আলী মালিথা ও মালিয়াট ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান খান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোট করছেন। 


ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে নজরুল হিজড়া আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইলেও তিনি শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এবং তার অবস্থা ভালে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীরা এখনো বহিস্কার না হওয়ায় নৌকার প্রার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা জেলা কমিটির কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়রুল আজিম আনার বলেন, পুর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিষয়টি জেলা কমিটির উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যুবলীগের বিষয়টিও জেলা যুবলীগ দেখবে বলে তিনি জানান ।

Post Top Ad

Responsive Ads Here