গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উত্তর চর আবাবিল উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক এই কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়পুর রাসেল ইকবাল।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, পোশাক, ব্যাগ এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত এবং ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পদস্খলিত শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে। এ থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা আর বোঝা না হয়ে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার রাসেল ইকবাল। বেসরকারি এনজিও ডরপের সহযোগিতায় শিগগিরই এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। এদিকে উপজেলার ১০টি ইউপির প্রতিটি ওয়ার্ডে জরিপের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উত্তরচর আবাবিল উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়পুর রাসেল ইকবাল ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ দুলাল হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ডরপের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল মালেক, জেলা ম্যানেজার বলরাম চক্রবর্তী, রায়পুর উপজেলা ম্যানেজার মোঃ অহিদুজ্জামান লিটন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য আবু তাহের, স্থানীয় বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন প্রমুখ।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন জানান, এনজিও ডরপ কর্তৃক বাস্তবায়িত চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রতিটি উপজেলায় একজন ঝরে পড়া শিশুর জন্য এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে ৬০ থেকে ৪২ মাস। রায়পুর উপজেলায় ৮-১৪ বছর। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, পোশাক, ব্যাগ এবং উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি স্কুলে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত পাঠদানের সুযোগ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্র্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, শিশুশ্রম, ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতাসহ নানা কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। অনেকে বিভিন্ন কারণে স্কুল ছেড়ে দেয়।
এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার মূল স্রোতে একীভূত করতে সহায়তা করা হবে। এটি সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ