![]() |
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষকের এক জোড়া চাষের গরু মারা গেল | সময় সংবাদ |
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মধুপুর পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিবর জোয়াদ্দারের ছেলে মজনু জদ্দার, রবিবার সকালে মাঠে ফেলা বিশ্বাসের ১০ কাঠা জমিতে চাষ করতে যায়। জমি চাষের পরে মই দিতে গিয়ে জমিতে থাকা ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিভাগের খাম্বার পাশে আসলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তার দাম আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার ২ টা চাষের গরু মারা যায়। কৃষক মজনু এই সময়ে নিজের সামান্য শর্ট খেলে ছিটকে পড়ার কারনে সে প্রানে বেঁচে যায়।
গ্রামের রুহুল আমিন নান্টূ, জানায় ওজোপাডিকোর কর্তব্য কর্মে অবহেলার কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনার পায় ৫ মাস আগে আজিজ সেখ নামে আরো একজন কৃষকের ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী গরু মারা যায়। তখন বিদ্যুৎ বিভাগে কে জানান হলে তারা আজ অবধি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিদ্যুৎ লাইন প্রায় ৫০ বছরের পুরান। একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন লাইনেই কোথাও ইট ঝুলছে আবার কোথায় বাঁশের চটা দিয়ে বাঁধা আছে। কোন খাম্বায় আরতিং নাই। বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযোগ দিলেও কোন মেরামত হয় না।যদি তারা এই বিষয়ে সতর্ক হতো তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটতো না।
উপস্থিত ভুক্তভোগী শতাধিক নারী পুরুষ বলেন যে সামান্য বাতাস উঠলেই তারে তার জড়িয়ে আগুন ধরে যায়। একাধিক বার বলে কোন প্রতিকার পাই না। অথচ বিদ্যুৎ বিল কোন প্রকারে বাকী হলেই লাইন কেটে দেয়। আমরা এই ঘটনার জন্য ক্ষতি পুরন চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের নামে মামলা করব। ঘটনার পর উক্ত স্থান পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ সোহেল রানা, তিনি ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলার কারনেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন। দূর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলেও ঘটনা স্থানে ওজোপাডিকোর কাউকে দেখা যায়নি।
এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ জেলা ওজোপাডিকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুস্তাফিজুর রহামান তাদের অবহেলার দায় অস্বীকার করে বলেন। এর আগে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। কোন খানে একটি ঘটনা ঘটলে তখন অনেক কথা হয়। তবে এখন কার ঘটনার জন্য যদি ভুক্তভোগী কোন অভিযোগ করে তাহল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সে আরো জানায় ঘটনার পর ঐ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।