![]() |
শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু পর্যন্ত সহায়তা করা আমার জীবনের লক্ষ্য | সময় সংবাদ |
নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
দীর্ঘ কয়েক বছরপর জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ২৩ শে মার্চ রোজ বুধবার বিশাল পরিসরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষেতলাল উপজেলা আ"লীগের ত্রি- বার্ষিকী সম্মেলন-২২-ইং।
উক্ত সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান ক্ষেতলাল উপজেলা আ"লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো.আব্দুল মজিদ মোল্লা সময় সংবাদ.ডট কমের জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিকে দলীয় কার্যালয়ে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি তার নিজের ও পারিবারিক রাজনৈতিক জীবনী তুলেধরে বলেন, বাংলাদেশ আ"লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু পর্যন্ত সহায়তা করা আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। রাজনীতি আমার পেশা নয়'রাজনীতি আমার নেশা,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্র জীবন থেকে আমি রাজনীতির পথচলা শুরু করি।
যে রাজনীতি তা কখনোই আমার নিজের স্বার্থের জন্য নয়" আমি রাজনীতি করি জনগণের সেবা করার জন্য এমন কথা বলে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনীর কথা তুলে ধরে বলেন, ১৯৮৫ সালে মাত্র ১৫ বৎসর বয়সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যদিয়ে আমার রাজনীতি জীবন শুরু যা এখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সততার সহিত রাজনীতি করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন,আমার পরিবার ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আ"লীগের পক্ষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চলমান ৯ মাস মুক্তিযোদ্ধে বিশেষভাবে অবদান রাখেছে।বঙ্গবন্ধুর আদশে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং তার চেতনা বুকে ধারন করে বিশ্বত ও সাহসিকতার সাথে ১৯৮০-১৯৯১ ইং সাল পযন্ত দায়িত্ব পালন করেছি।
১৯৯১-ইং সালে ক্ষেতলাল উপজেলা আ"লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন সাবজেক্ট কমিটির ৯৮ ভাগ ভোট পেয়ে উপজেলা আ"লীগের আমি সাধারন সম্পাদক নিবাচিত হই।উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় আ"লীগের সহ- সভাপতি ডাঃ সেলিম ভাই। ১৯৯৫-ইং সালের সম্মেলনে বাংলাদেশ আ"লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মো.নাছিম ভাই এর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় বারও আমি উপজেলা আ"লীগের পুনরায় সাধারন সম্পাদক নিবাচিত হই।
২০০৫-ইং সালে বাংলাদেশ আ"লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান ভাই এর উপস্থিততে এি-বাষিক কাউন্সিল স্থানীয় গন্ডগোলের কারনে স্থগিত হয়ে যায়। ২০০৮ ইং সাল পযন্ত সাবেক কমিটি দলের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি। ২০০৮ ইং সালে আমাদের প্রিয় নেতা কেন্দ্রীয় আ"লীগের টানা বারের সাংগঠনিক,জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ভাইয়ের উপস্থিততে আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়।
উক্ত আহবায়ক কমিটিতে আমি ১ নং যুগ্ম-আহবায়ক নিবাচিত হই। ২০১৩ ইং সালে ত্রি- বার্ষিকী সম্মেলনে আমি ১ নং সহ-সভাপতি নিবাচিত হই এবং সভাপতি নির্বাচিত হয় খলিলুর রহমান। সভাপতি খলিলুর রহমান ২০১৭-ইং সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে অদ্য বিধি সততা,ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে আমার উপর সভাপতির দায়িত্ব অপিত হলে এখন পর্যন্ত সততার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি।
তিনি আরও বলেন,রাজনৈতিক হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে আওয়ামী চেতননায় সমৃদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে তৃণমূল সংগঠিত করতে গিয়ে আমাকে অনেকে অনেক নির্যাতন জুলুম হুলিয়া ও মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে হয়রানি করা হয়েছে।
সেগুলো মাকাবিলা করতে গিয়ে শুধু আমার সংসার বিদ্ধস্হ বিদ্বিষ্ট হয়নি আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে অনেক সোনালী দিন। সেই সময় আমার ২ টি মেয়ে হারিয়েছে বাবার আদর সহধর্মিণী হারিয়েছে আমার সুখের সান্নিধ্য ১৯৯৬ ইং সাল হতে ২০০৭ ইং সাল পর্যান্ত বিএনপি সরকার জোট সরকারের নিবাচনে বাংলাদেশ আ"লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম।
কিশোর বয়স থেকে আজীবন আমি দলের প্রতি শতভাগ অনুগত থেকেছি।দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কমকান্ড আমর দ্বারা সংগঠিত হয়নি।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দল কে সু-সংগঠিত করেছি। দলের দুঃসময়ে যা হারিয়েছি,দলের সুসময়ে তা পূরনের চেষ্টাও আমি করিনি। নিলোভ নিমোহ থেকে দলের জন্য কাজ করেছি। আমি জানি স্থানীয় জন প্রতিনিধি হ'য়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে মানুষের সেবা করার সাধ উপভোগ এবং অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে না ফেরার দেশে যাওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে আমি মননোয়ন প্রত্যাশা করছি।
সেই সাথে মহান আল্লাহ তালাকে হাজির নাজির রেখে আশা ব্যক্ত করছি যে,আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। কেন না মনোনয়ন প্রত্যাশী যে কোন নেতারাই চাইতে পারে দলে আমার অনেক বেশি বিনিয়োগ রয়েছে।
মানুষ আমার প্রতি বিরাগ ভাজন নয়। ত্যাগীও দুঃসময়ে পরিক্ষিত মানুষ হিসেবে সবাই আমাকে জানে ও পছন্দকরে। তৃনমূলেই সেই গ্রহণ যোগ্যতা আমার রয়েছে। এজন্যই আমি নিজেকে গর্ভিত মনে করি। দল ক্ষমতার সু-দীর্ঘ একযুগে আমার রাজনৈতিক জীবনে পরিবার পরিজনদের কিছুই দিতে পারি নাই। এমন কি আমার দুটি এম এ পাশ করা কন্যাদের ও রাজনৈতিক জীবনে পরিবার পরিজনদেরও কিছু দিতে পারিনাই।
তবুও তারা গবিত এই জন্য যে,আমি মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনা ধারণ করে আমাদের মহান নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শতভাগ আস্থায় অবিচল থেকে কাজ করে যাচ্ছি। দলের কাছে আজীবন কিছু চাইনি। আজ আমার শেষ চাওয়া বুধবার অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করে মূল্যায়ন করা হবে।
আমার মহান নেত্রী আমাকে কিভাবে আপনি আমাকে মূল্যায়ন করবেন জানি না। তবে বড় আশায় যা চেয়েছি তা পেলে আপনার অমযাদা করাব না শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ। এক সময়ের বিএনপি জামাত কবলিত উপজেলাকে আ"লীগের ঘাটিতে পরিণত করেছি। আশাকরি অনুষ্ঠিত সম্মেলন যদি আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তবে দলকে আরও সুসংঘটিত করবো ইনশাআল্লাহ বলে এ প্রবীণ নেতা সাংবাদিককে জানান।