বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স, বেনাপোল বন্দরে সতর্কতা জারি
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
করোনার পর এবার বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স নিয়ে। এরমধ্যে আফ্রিকা ও আমেরিকা এবং ইউরোপসহ বিশ্বের ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। মাঙ্কিপক্স থেকে বাংলাদেশও ঝুঁকিমুক্ত নয়।
এ অবস্থায় মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা হিসেবে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও বন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (২৩ মে) শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করলেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে বিরল এই রোগ মাঙ্কিপক্স। স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ছোঁয়াচে রোগটি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে একজনের শরীরে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি কানাডা ভ্রমণ করেছিলেন। মানবদেহে স্মলপক্সের মতোই প্রতিক্রিয়া তৈরি করে মাঙ্কিপক্স, যা পেশিতে ব্যথা, গলা ফোলা উপসর্গ দিয়ে শুরু হয়ে সাধারণ ফ্লুজনিত জ্বর দেখা দেয়। পরে মুখ ও শরীরে চিকেন পক্সের মতো র্যাশ দেখা যায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র। সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে এই বিরল রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমরা একটি সতর্কতা জারি পত্র পেয়েছি। পত্র পাওয়ার পরপরই ইমিগ্রেশনে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ভাইরাসটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সারাবিশ্ব থেকেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধুমাত্র বন্দর ও পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল করা সীমান্তগুলোতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নির্দেশনায় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থেকে যেসব যাত্রী ভারত হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে শুধুমাত্র তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের টিম বন্দর এলাকায় যাত্রী ও ড্রাইভারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে। মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী।