ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে হাজার দশেক মানুষ নিয়ে মিছিল করলেন বিপুল ঘোষ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Sunday, May 08, 2022

ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে হাজার দশেক মানুষ নিয়ে মিছিল করলেন বিপুল ঘোষ

 


ফরিদপুর প্রতিনিধি : 
আগামী ১২ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে হাজার দশেক মানুষ নিয়ে মিছিল ও গন সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্ষীয়ান নেতা বিপুল ঘোষ।

জেলা আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে বিপুল ঘোষ একজন সভাপতি প্রার্থী।

এ উপলক্ষে শহরের গোয়ালচামটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে রোববার বিকেল চারটার দিকে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়। এরপর রাস্তার মোড় হয়ে মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিপুল ঘোষ বলেন, আমরা বিগতদিনগুলোতে ফরিদপুরের মানুষ অনেক কষ্ট-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন। ১২ তারিখের সম্মেলনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে চাইবেন তাকেই সভাপতি, সেক্রেটারী করবেন। এখন প্রশ্নটা হলো, জননেত্রী শেখ হাসিনাই যদি নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন তাহলে আপনাদের মহড়ার দরকারটা কি? তিনি বলেন, আমরাতো মহড়া দেইনা। কোন জায়গায় আমার একটা পোস্টার নাই, একটা ব্যানার নাই। ৫৩ বছর রাজনীতি করি। একাত্তর মাস জেল খাটছি। ১৭ বার জেলে গেছি আওয়ামী লীগের কারণে। একবারও আমার ব্যক্তিগত কোন কারণে আমি জেলে যাইনি।

তিনি বলেন, সব জায়গাই একটা প্রতিপক্ষ থাকে। আওয়ামী লীগ একটা বৃহত্তম দল তাই স্বাভাবিকভাবে অনেক লোক প্রার্থী হতে পারে। রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকাটাই সৌন্দর্য্য। আপনারা অনেকে প্রার্থী হয়েছেন। আমি তাদের একবারও বলিনা আপনারা কেনো আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী হইলেন? কিন্তু আমার লোক, আমার সমর্থক, শেখ হাসিনার লোক; তাদের যদি আপনারা মারেন তা হইলে কিন্তু আপনারা পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। এই জনগণ টাকায় আসেনা। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভালবাসায় আসে। তিনি নিজ দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা একাই সবকিছু হইতে চান, তা হইলে অন্যরা কি করবে? দুইদিন আগে আগে আপনারা চেয়ারম্যান (মেয়র) হইলেন। এখন আপনে আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী হবার চান। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নজন দিয়ে ভয় দেখান। বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে বিভিন্নরকম কথা বলেন। অথচ উনার মনোনয়ন দেয়ার জন্য আমি সুপারিশ করেছিলাম।

বিপুল ঘোষ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য দলীয় নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব ব্যক্তিগত যারা কর্মকর্তা তারা ফরিদপুরে রেকি করে গেছেন। কে সভাপতি কে সেক্রেটারী কে হইলে ভালো হয়? যাকে উনি ভালো মনে করবেন তাকেই আমরা নেতা হিসেবে মেনে নেবো। কিন্তু আপনারা যদি জোর করে কিছু করতে চেষ্টা করেন তাহলে আপনাদের কপালে বহু দুর্ভাগ্য আছে। কোন কারণে যদি সাধারণ মানুষগুলো ক্ষেপে যায়, তাহলে এদের হাত থেকে আপনারা বাঁচতে পারবেন না।

এসময় তিনি আরো  বলেন, সন্ত্রাস, হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনী আবার নতুন করে ফরিদপুরবাসীর উপর চেপে বসেছে। এদেরকে উৎখাত না করতে পারলে ফরিদপুরের মানুষের জীবন আগের চাইতে আরো দুর্বিষহ হবে। আজকে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের সাধারণ মানুষের মধ্যে একটাই কথা- আগামীতে যদি ফরিদপুরে বাস করতে হয় তাহলে সন্ত্রাস থেকে মুক্তি চাই। তাই অনুরোধ জানাই আপনারা শান্ত হন।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. মনিরুল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুজ্জামান মুরাদ, অ্যাডভোকেট সরদার আওয়াল হাসান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তৌহিদুল আলম পুচ্চি প্রমুখ।

এসময়  কোতয়ালী থানা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার তূনমূলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। 






No comments: