চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল সরকারিকরণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুন ৩০, ২০২২

চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল সরকারিকরণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল সরকারিকরণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট
 চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল সরকারিকরণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট


নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর:

ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলায় নেই কোন সরকারি হাইস্কুল। যার কারনে উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয় সরকারি শিক্ষা ব্যাবস্থার। এমত অবস্থায় ২০১৪ সালে সদরে অবস্থিত চরভদ্রাসন পাইলট হাইস্কুলটি সরকারি করনের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নানা জটিলতায় গত ৮ বছরে তা আর হয়ে ওঠেনি।


বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য ২০১৮ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয় এবং উক্ত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে উক্ত বিষয়টি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।  উক্ত আদেশের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে একটি চিঠি দিয়ে আটকে দেয় সরকারিকরন প্রক্রিয়া এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয় যে একই উপজেলায় একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকা অবস্থায় আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি করনের সুযোগ নেই।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উক্ত সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে আরেকটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। উক্ত রিট আবেদনে জারিকৃত রুল চূড়ান্ত শুনানি করে আজ বৃহস্পিতিবার(৩০শে জুন) রায় ঘোষণা করা হয়েছে। 


রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।  তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোঃ মাজেদুল কাদের, এডভোকেট ইমরুল কায়েস খান এবং মোঃ সোয়েব মাহমুদ। 


ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব জানান, রায়ে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে যথাযথ সরকারি আদেশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন।আজ বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি খিজির হায়াত এর বেঞ্চ উক্ত রায় প্রদান করেন।

চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল সরকারিকরণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট


উল্লেখ্য চরভদ্রাসন পাইলট হাই স্কুল ফরিদপুর  জেলার  চরভদ্রাসন উপজেলার সবচেয়ে পুরনো এবং স্বনামধন্য স্কুল।  ১৯৪৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হলেও অদ্যাবধি সরকারিকরন করা সম্ভব হয়নি। স্কুটি সরকারিকরণের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ  ব্যাপক ভাবে উপকৃত হবে, গরীব শিশুরা বিনা বেতনে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাবে।


Post Top Ad

Responsive Ads Here