বিয়ের দাবিতে আপন ভাগিনার বাড়িতে মামির অনশন | সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুন ৩০, ২০২২

বিয়ের দাবিতে আপন ভাগিনার বাড়িতে মামির অনশন | সময় সংবাদ

 

বিয়ের দাবিতে আপন ভাগিনার বাড়িতে মামির অনশন | সময় সংবাদ

সোহেল হোসেন : 

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের এক পল্লীতে ভাগিনার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে দুই স্বামীকে বাদ দিয়ে বিয়ের দাবিতে ভাগিনার বাড়িতে মামী অনশন করছেন সীমা আক্তার নামে এক নারী।


২৯ জুন বুধবার উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি ভাগিনার বাড়িতে ওই নারীকে অনশন অবস্থায় দেখা যায়।


সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার (২৬) এবং পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন মানিকের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা পরস্পর মামি-ভাগিনা হওয়ার কারণে অবাধ মিলামিশা করলেও সমাজের লোকজন তেমন কিছু মনে করেনি। মামা বিল্লাল হোসেন পেশায় একজন প্রবাসী। প্রতিনিয়তই দেশের বাইরে থাকতেন মামা বিল্লাল। মামার অনুপস্থিতিতে মামির সাথে সময় কাটোতো ভাগিনা মানিক। এভাবেই মামি- ভাগিনার প্রেম কাহিনী শুরু হয়।


জানা যায়, ২০০৯ইং সালে সীমা আক্তারের সাথে বিল্লাল হোসেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকে আনোয়ার হোসেন মানিক মামার বাড়ি প্রতিনিয়ত যাওয়া আসা কনতো। সে সুযোগে মানিক সুকৌশলে সীমা আক্তারের বিভিন্ন ছবি মোবাইলে ধারন করে সীমা আক্তারকে ব্লাক মেইল করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মানিকের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের অবনতি হয় এবং একপর্যায়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মানিক সীমাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশি পাড়ি জমায়। মানিক চার বছরেও ফিরে না আসায় পরিবারের চাপে সীমা গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে বিবাহ হয়। মানিক সেখানেও সীমার দ্বিতীয় স্বামীর যোগাযোগ করেন এবং তার দ্বিতীয় সংসার ভেঙ্গে যায়।


এদিকে মানিক প্রবাসে থাকা অবস্হায় মোবাইল ফোনে বিয়ে হয় সীমা জানান।এ বিষয়ে অনশনকারী সীমা বলেন, মানিক আমাকে ঘরে তুলে না নিলে আমি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেবো। সে আমাকে অনেকবার স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে।


এই বিষয় আনোয়ার হোসেন মানিক জানান, আমি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি না।


এই বিষয়ে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমি মাত্র জেনেছি এবং উক্ত বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।


ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছে। তাদের একটা মামলা ও চলমান। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমরা অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুঁইয়াকে দায়িত্ব প্রদান করেছি বিষয়টা সমাধান করার জন্য।


Post Top Ad

Responsive Ads Here