![]() |
চরভদ্রাসনে পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে নদীর বাঁধে ভাঙন | সময় সংবাদ |
নিজস্ব প্রতিবেদক:সময় সংবাদ
পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন। ভাঙন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পরার সম্ভাবনা রয়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টি।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাঙন দেখা যায়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত ১০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদী ও লোহারটেক কোলের সংযোগ স্থলে দুপুর দুইটার দিকে তীব্র স্রোত দেখা যায়। এর পরই পানিতে বালুভর্তি ডাম্পিংকৃত জিওব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে।ওই গ্রামের বাসিন্দা রহমত খান বলেন, বাঁধের কাজ শুরু হওয়াতে আমাদের আশা ছিল আর হয়তো ভাঙবে না। কিন্তু আজকের ভাঙনের পর চিন্তায় আছি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাব।
একই গ্রামের শেখ হালিমের স্ত্রী রেবেকা খাতুন (৫০) বলেন, ২০ বছর ধরে রাস্তার উপর বাড়ি করে আছি। অল্প আয়ের সংসারে মাথা গোঁজার একটু জায়গা কিনতে পারি নাই। পদ্মায় এইটুকুও নিয়া গেলে আর যাওয়ার জায়গা নাই।
সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, হঠাৎ পদ্মা ভাঙন দেখা দেবে, তা তিনি ভাবতে পারেননি। ভাঙন বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন। ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা চলমান রাখতে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে দুইশত মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি। এবছর পূর্ব সতর্কতামূলক প্রকল্প এলাকা ঢালু করে তার উপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন।পদ্মা ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুত্র: বিডি প্রতিদিন