সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : ফরিদপুরের বিষমুক্ত আম বিক্রেতা গিয়াস দুঃখ করে বলছিলেন, কেমনে কি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। বাংলাদেশ ফল গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে আম্রপলি আম পরিপক্ক হবে আগামী ২৫ জুন। আম ক্যালেন্ডারে নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আম্রপালি আম ২৫ জুন নির্ধারণ করেছে। অথচ বাজারে আম্রপালি আমে সয়লাব। দামেও দেখছি আমের রাজ্যে নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এখানে ফরিদপুরে অনেক কম। আর ওইসব আম দেদারছে কিনে নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে ক্রেতারা। তিনি বলেন এসব কারণে আমরা যারা খাঁটি পণ্য নিয়ে কাজ করছি তারা রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে যাচ্ছি। যাই হোক কেউ খাক বা না খাক সত্য সুন্দর এবং খাটি অন্য মানুষকে খাওয়ানোর জন্য কাজ করে যাব।
গিয়াস ফরিদপুরের শহরতলীর গঙ্গাবর্দী বাজারে তার আমের দোকান রয়েছে। তার দোকানটি জীবন খাটি বাজার নামে পরিচিত। তিনি সরাসরি রাজশাহীসহ বিভিন্ন আম পাওয়া যায় এমন সব এলাকা থেকে আম নিয়ে এসে বিক্রি করছেন।
আম ব্যবসায়ী গিয়াসের কথা মতো ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ঘুরে দেখা যায় বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই আম্রপলি সহ বিভিন্ন জাতের আম।
এসময় শহীদুল নামে এক ব্যক্তি জানান, গতকাল ফলপট্টি থেকে আম কেনার পরে সে আম খাওয়ার পরে মুখে কেমন যেন একটু জ্বালা জ্বালা করছিল। তিনি বলেন হয়তোবা এইসব আম রাসায়নিক দিয়ে পাকানো এই কারণে এমনটি হয়েছে।
হারুন নামে একজন জানান ভাঙ্গা উপজেলা বাজার থেকে আম কিনে সেই আম খাওয়ার পরে আমার ডায়রিয়া শুরু হয়। আমি ধারণা করছি আম গুলো রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পাকানোর কারণে আমার এমনটি হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সোহেল শেখ জানান, আমরা সরকারের যে আম ক্যালেন্ডার রয়েছে সে মোতাবেক দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। একই সাথে আম কোন ওষুধ দিয়ে পাকানো হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তদারকি জোরদার ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এদিকে এ বিষয় নিয়ে ফরিদপুরের বিশিষ্টজনেরা জানান, প্রশাসনের উচিত হবে বাজারে তদারকি ব্যবস্থা আরো জোরদার করা। একই সাথে আমগুলো কোন রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কিনা সেগুলো যাচাই করা। কারণ এই সব আম খেয়ে হতে পারে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা।

