
"গৌড়মতি আম চাষে সফলতা | সময় সংবাদ"
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গৌড়মতি আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার শহিদুল ইসলাম ও আল-মামুন নামে দুইচাষি। তাদের সফলতা দেখে এই আমের বাগান গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এলাকার অনেকেই।
উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এই বাগান। এবারে বাগানের ৭৫টি গাছে আম উৎপাদিত হয়েছে। লেট ভ্যারাইটির এই বাগানের গৌড়মতি আম দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন আগ্রহী চাষিরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগানটি পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবু হোসেন, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মাহবুবা সিদ্দিকা রুমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।
জানা যায়, উপজেলায় পর্যায়ক্রমে খিরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, নাগফজলি, আম্রপালী, আশ্বিনা ও বারিফোর জাতের আম শেষ হয়েছে। এখন বাজারে কিংবা বাগানে আর কোনো আম নেই। অসময়ের গৌড়মতি জাতের আম বাগান থেকে নামানো শুরু হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আমের মৌসুম।
বাগান মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর তার বাগানে ৮০ মণ গৌড়মতি আম উৎপাদিত হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি মণ আম ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝখানে বিক্রি হয়েছে ৭-৮ হাজার টাকা মণ দরে। বর্তমানে প্রতি মণ আম ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পাইকারি বাজারে প্রতি মণ আম ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসেবে ৮ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পাবর।
এদিকে, এই আম সুস্বাদু, সুমিষ্ট ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার শহিদুল ইসলাম ও আল-মামুন পাশাপাশি অনেক আমচাষি এ আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে এ দুই চাষিকে গৌড়মতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হয়। কোনো চাষি যদি গৌড়মতি আমের বাগান তৈরি করতে আগ্রহী হয় তাহলে তাকে সব রকমের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
