ফরিদপুর প্রতিনিধি:
অগঠনতান্ত্রিক ও অসংবিধানিক উপায়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের জেলা কমিটির সম্মেলনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের একাংশের উদ্যোগে ফরিদপুর প্রেসক্লাব এর সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবীলীগের যুগ্ম আহবায়ক বোরহানুস সুলতান, মামুন আল কাউসার নাদিম সহ অন্যরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিতর্কিত এই সম্মেলন নিয়ে ফরিদপুরে সংগঠনের মধ্যে প্রবল গ্রুপিং এবং হানাহানির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই সম্মেলনের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের কোন নিয়ম কানুন না মেনে গত ১৯ মে তারিখে নগরকান্দায় জেলা কমিটির বিতর্কিত সভাপতি কাজী আব্দুস সোবহানের বাগানবাড়িতে সংগঠনের সদস্য সচিব ফরিদ মিয়া কে নিয়ে কমিটির সকল নেতাকে পাশ কাটিয়ে সম্মেলনের বিতর্কিত তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কলে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য এটা দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা দুষ্ট চক্রের কাজ বলে আমরা মনে করি। তারা আরো বলেন, এ সম্মেলনে জেলার এমপি ও কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করে নির্বাচনের প্রাক্কালে আইনশৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন এই কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সোবহান একজন বরখাস্তকৃত সেনা কর্মকর্তা। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহি নকল করে ছয় মাসের জেল খেটে এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে মৎস্যজীবী লীগের কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন। তার মুখে জানতে পেরেছি তিনি বিশাল অংকের টাকার বিনিয়র করে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক হয়েছেন। আর এ কারণে তিনি দলের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে নগরকান্দা, ফরিদপুর সদর, সালথা, মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গায় অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিত লোকদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এর আগে কমিটির সদস্যদের কে নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন মৎস্যজীবী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবীলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সোবহান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কখনোই সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হইনি কিংবা জেলও খাটিনি। আমি ভদ্রলোক মানুষ আমাকে হেও করার জন্য কিছু মানুষ আমার পিছনে লেগে এসব কথা বলছে। মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন সম্বন্ধে তিনি বলেন, সম্মেলন সকল কে সঙ্গে নিয়েই করার চেষ্টা করা হচ্ছে যারা এখন কমিটি নিয়ে মিথ্যাচার করছে তারা কখনোই কোনদিন এক্টিভ ছিলনা দলের জন্য। আমি দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মৎস্যজীবী লীগ এখন অনেক বেশি এক্টিভ হয়েছে।
উল্লেখ্য আগামী ২৭ মে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই মৎস্যজীবী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা বিষয়টি প্রতিবাদ করে আসছে। আর এই সম্মেলন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে জেলায়।