![]() |
ভাঙ্গায় হামলার ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনকে আসামি করে মামলা |
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আজাদুজ্জামান বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার ২ নম্বর আসামি হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন মিয়া।
এর আগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলায় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। নতুন মামলায় থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম বলেন, “ভাঙ্গা থানায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে টানা অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু হয় ভাঙ্গায়।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ৯-১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা অবরোধে রূপ নেয়। পরে ১৪-১৬ সেপ্টেম্বর আবারও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দফা কর্মসূচির প্রথম দিনে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। এতে ভাঙ্গার হামিরদী, ভাঙ্গা জংশন ও রাজবাড়ীতে তিনটি ট্রেন আটকা পড়ে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
পরের দিন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে ভাঙ্গা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্স, হাইওয়ে থানা এবং সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “ভাঙ্গা উপজেলা কমপ্লেক্সে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে আলাদা মামলার প্রস্তুতি চলছে।”