![]() |
চেয়ারম্যান আলাউদ্দীনের হাত ধরে বদলে গেছে তেঁতুলতলা-নলডাঙ্গা সড়ক |
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কে না ভালোবাসে! মানুষ থেকে শুরু করে পাখি, সবাই বসবাস ও ঘোরাঘুরির জন্য খোঁজে একটুখানি শান্ত পরিবেশ। এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য এখন ঝিনাইদহের তেঁতুলতলা থেকে নলডাঙ্গা সড়কে। প্রশস্ত পিচঢালা রাস্তায় সারি সারি সবুজ নারিকেল গাছ আজ এই সড়ককে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি।
এখন ঝিনাইদহ শহরের মানুষ বিকেলের আড্ডা কিংবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে চলে আসেন এই সড়কে। সবুজ মাঠ, ছায়াবিথী আর নির্জন প্রকৃতি সহজেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের মুগ্ধ করে তোলে।
কিন্তু এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে যিনি মূল কারিগর, তাকে অনেকেই চেনেন না। তিনি হলেন নলডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ছবেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. আলাউদ্দীন।
১৯৯২ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ১৯৯৩ সালে প্রায় ২,৫০০ নারিকেল গাছ রোপণ করেন। পরিচর্যার পর টিকে যায় প্রায় ৭০০ গাছ। সময়ের পরিক্রমায় আজ সেই গাছগুলো পরিণত হয়েছে সবুজ ছায়া আর সৌন্দর্যের প্রতীকে। স্থানীয় মসজিদ কমিটি বর্তমানে এসব গাছের দেখভাল করছে।
আলাউদ্দীন শুধু নারিকেল গাছই রোপণ করেননি; ২০২২ সালে তিনি চার কিলোমিটারজুড়ে তালের বীজও বপন করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে (১৯৯২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত) তিনি এলাকায় ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির উন্নয়নসহ নানান জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন। এখনো তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন।
নিজ হাতে লাগানো নারিকেল গাছগুলোর সারি দেখে তিনি গর্বিত। তার ভাষায়,“প্রতিটি গ্রামীণ সড়কে এভাবে গাছ রোপণ করলে মানুষের মধ্যে ভালোবাসা জাগ্রত হয়, আর পরিবেশও সুন্দর হয়।”
প্রকৃতি প্রেমিকরা এ সড়কে ঘুরতে এসে মুগ্ধতা লুকাতে পারেন না। স্থানীয় যুবক সজিব হোসেন কবির ভাষায় বলেন,“প্রকৃতির উদার দান মানুষের তরে, হাজারো ডালিতে তার রূপের সৌন্দর্য ঝরে, চর্মচক্ষুর স্বার্থকতা প্রাণ ভরে, প্রাকৃতির সান্নিধ্য যেন তারই তরে।”