চরফ্যাশনে চিকিৎসক আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, অক্টোবর ০৬, ২০২৫

চরফ্যাশনে চিকিৎসক আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

 

চরফ্যাশনে চিকিৎসক আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু
চরফ্যাশনে চিকিৎসক আঁখি আক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

চরফ্যাশন প্রতিনিধি:

চরফ্যাশনে ইকরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক আঁখি আক্তারের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এই চিকিৎসকের কারণে গত বছরও একই এলাকায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। 


রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার করিমজান মহিলা মাদ্রাসা রোডে অবস্থিত ওই হাসপাতালেই এই ঘটনা ঘটে।


নিহত নবজাতকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০ টার দিকে সন্তানসম্ভবা তাছলিমা বেগমকে মেঘনা ল্যাব থেকে ডাক্তার আঁখি আক্তারের পরামর্শক্রমে ইকরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ডাক্তার সেখানে উপস্থিত না থাকায় ডেলিভারি সম্পন্ন করেন নার্স ও আয়া। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ডেলিভারি রুমে নেওয়া হলেও পরিবারকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এরপরই নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।


নিহতের পিতা মো. বাবুল অভিযোগ করেন, "যদি নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না হতো, ডাক্তার আমাদের জানাতেন। আমরা চাইলে সিজার বা অন্য হাসপাতালে নিতে পারতাম। কিন্তু চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমাদের সন্তান মারা গেছে। আমরা তার বিচার চাই।"


জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বরও একই চিকিৎসকের অবহেলায় চরফ্যাশন হাসপাতাল রোডের প্রাইভেট ক্লিনিক সেন্ট্রাল ইউনাইটেডে আনোয়ার হোসেনের কন্যা মুন্নী আক্তার মারা গিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় জনরোষের কারণে চিকিৎসক পালিয়ে যান। পরে কিছুদিনের গাঁঢাকা দিয়ে তিনি ইকরা হাসপাতালে ফিরে এসে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।


স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চরফ্যাশনের বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনহীন ক্লিনিক রয়েছে, যেখানে অনভিজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখেন এবং স্বাভাবিক প্রসবেও পরিবারকে ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থের জন্য সিজার করানো হয়। মাকসুদ নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, "ডাক্তার আঁখি আক্তার একজন টিকটকার, সবসময় টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তার মতো ডাক্তার চরফ্যাশনে থাকার যোগ্যতা রাখে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"


ইকরা হাসপাতাল গিয়ে ডাক্তার আঁখি আক্তারকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফোনে কল দিলে সহকারী জানান, ম্যাডাম ওটিতে রয়েছেন এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী নন। পরে ফোন কেটে দেওয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক পলি বেগমকে পাওয়া যায়নি, তবে তার স্বামী কাদের জানান, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং ডাক্তারকে হাসপাতালে রাখা হবে কি না শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বশাক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোলা সিভিল সার্জন ডা. মনিরুল ইসলামও জানান, বেসরকারি ডাক্তার আঁখি আক্তারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



Post Top Ad

Responsive Ads Here