চরভদ্রাসনে প্রসূতি মায়ের উপর বর্বর নির্যাতন করেছে পাষন্ড স্বামী ! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৪, ২০১৮

চরভদ্রাসনে প্রসূতি মায়ের উপর বর্বর নির্যাতন করেছে পাষন্ড স্বামী !

নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর চরভদ্রাসন থেকেঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের বৌদ্ধ ডাঙ্গী গ্রামের এক মাসের প্রসূতি মাতা মুন্নি আক্তার (২৫) এর উপর গত রোববার দিবাগত রাতে বর্বর নির্যাতন করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে গৃহকর্তা শেখ আনোয়ার (৪০)। প্রসূতি মায়ের সারা শরীরে লোহার রড দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে কালো কালো জখম করার পর পাষন্ড স্বামী বাড়ীতে রাখা ছ্যান দ্যা দিয়ে কুপিয়ে বাম পায়ের আঙ্গুলীর উপরের অংশে গুরুতর ক্ষত করেছে। একই সাখে কিল ঘুষি ও পায়ের গোড়ালী দিয়ে একাধিক আঘাত করার ফলে প্রসূতি মাতার বাম চোখ গুরুতর জখমের শিকার হয়েছে। প্রসূতি মাতার সংসারের স্বতিনের কু-ছলায় পাষন্ড স্বামী শেক আনোয়ার তার দ্বিতীয় স্ত্রী এক মাসের পুত্র সন্তানের জননী মুন্নি আক্তারের উপর বর্বর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ। সোমবার হাসপাতাল বেডে বসে এ ব্যপারে গৃহকর্তা শেখ আনোয়ারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, “ আমার স্ত্রীকে মারার দরকার হয়েছে তাই মারছি, আমি কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে রাজি না”। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিত গৃহবধুর মা ফিরোজা বেগম (৫০) বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতী চালাচ্ছিলেন।
    নির্যাতিত প্রসূতি মাতা মুন্নি আক্তার জানায়, তার স্বামী শেখ আনোয়ারের সংসারে আগের রানু আক্তার (৩০) নামক এক বন্ধা স্ত্রী ছিল। সন্তান না হওয়া কারনে গত পাঁচ বছর আগে রানু আক্তারকে তালাক দিয়ে মুন্নিকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। মুন্নির সংসারে মহিম শেখ (২) এক পুত্র সন্তানের পর মাত্র এক মাস আগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে আরেকটি পুত্র সন্তান হয়। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে সাইম শেখ। ইতিমধ্যে আনোয়ার শেখের তালাক প্রাপ্ত আগের স্ত্রী বিদেশে গিয়ে কিছু অর্থ পুঁজি নিয়ে দেশে ফেরার পর গত বছর আনোয়ার শেখ তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে ফের একই বাড়ীতে পূনঃবার সংসার শুরু করেছে। এরপর থেকে গত এক বছর ধরে দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নির উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালাচ্ছে আনোয়ার শেখ। ঘটনার রাতে প্রসূতির মাতার কোল থেকে এক মাসের শিশুকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর সতিন ও স্বামী উভয়ে মিলে তাকে নির্মম অত্যাচার করে সারা শরীরে জখম সহ বাম চোখ অর্ধ বিনষ্ট করে দেয়। এ সময় প্রসূতি মাতার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তার প্রাণ রক্ষা করেন। এ খবর শুনে নির্যাতিত গৃহবধুর মা ফিরোজা বেগম ছুটে গিয়ে মেয়েকে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন  থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here