গোবিন্দগঞ্জে দুটি কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার II সময় সংবাদ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

গোবিন্দগঞ্জে দুটি কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার II সময় সংবাদ

মোস্তাফিজুর রহমান ,গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা ।।


গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শিহিগাঁও গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ওই গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি বিষ্ণু মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে কুদ্দুস ও ইদ্রিস দুই ভাই ৩ একর ১০ শতাংশ জমির একটি পুকুর স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম আহম্মেদ গোলাপ এর নিকট লীজ প্রদান করেন। উক্ত লীজকৃত পুকুরটি ইউপি সদস্য পুকুর মালিকের চুক্তি অনুযায়ী খনন শুরু করেন। ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করার সময় কষ্টি পাথরের একটি বিষ্ণু মূর্তি দেখতে পায় ভেকু চালক। পরে একই গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সোলায়মান, লোকমানের ছেলে রঞ্জু মিয়া, আবু বক্করের ছেলে হায়দার আলী, আব্দুর ছাত্তারের ছেলে ওয়েছ কুরুনী, মতিনের ছেলে মমিন ও জাকারিয়া নামের কয়েকজন ব্যক্তি মূর্তিটি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গোপন রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ প্রথমে সোলায়মান ও তার শশুর করিমের বাড়ীতে তল্লাসী চালায়। পুলিশ মূর্তির সন্ধান না পেয়ে সোলামানের ছেলে সোহাগ ও ওয়েছ কুরুনীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আটকের পর ওয়েছ কুরুনী মূর্তি সোলায়মানের অধিনে রাখা হয়েছে মর্মে জানায়। তার তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ওই গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বিষ্ণু মুর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা ধারনা করছেন, যেহেতু প্রাচীন আমলের কষ্টি পাথরের মূর্তিটি সেহেতু এটি অনেক মূল্যবান হতে পারে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি পরীক্ষা- নিরীক্ষার পর জানা যাবে আসলে কতটুকু মূল্যবান।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য গোলাপ বলেন, মূর্তিটির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমি পুকুরটি লীজ নিয়েছি। পুকুর খননে ভেকু চালককে চুক্তি দেয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক তারা পুকুর খনন করছেন। মুর্তিটি কিভাবে বের হয়েছে তা আমার জানা নেই।
এরআগে ১৮ এপ্রিল একই পুকুর থেকে প্রায় ৪০/৪৫ কেজি ওজনের একটি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যক্তি আটক করেননি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই শফিকুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা করা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দুটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পরিক্ষা- নিরীক্ষার পর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here