চরভদ্রাসনে ১২ বছরের কিশোরীকে গনধর্ষনের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, জুলাই ১৭, ২০১৮

চরভদ্রাসনে ১২ বছরের কিশোরীকে গনধর্ষনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি-
ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুল্লাহ্ মাতুব্বরের ডাংগী গ্রামের গোপালপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বারো বছরের এক কিশোরীকে গনধর্ষনের অভিযোগ এসেছে।ঘটনার পরে ঐ কিশোরীকে বাড়ির সামনে ফেলে যাওয়া হয়।সে বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
 জানা যায়, গত রবিবার বাড়ির পাশে পদ্মার ঘাট ও দোকানপাট হওয়ায় বিভিন্ন সময় এই কিশোরি সেখানে যাতায়ত করে। কিন্তু গত রবিবার ১৫ জুলাই সন্ধার পর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যায় না।প্রায় রাত একটার দিকে হঠাৎ বাড়ির উঠানে তাকে কান্নারত অবস্থায় পাওয়া যায়।পরের দিন সকালবেলায় দ্রæত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।বর্তমানে সে ট্রমা সেন্টারে নিবির চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে কিশোরির পিতা জানান,আমি দিন-মজুর ভ্যান চালক সাধারন মানুষ।গত আট মাস পুর্বে সাপে কামড় দেওয়ার পর থেকে আমি অসুস্থ।তারপর ও কাজ করতে হয়।গত রবিবার আমি চরভদ্রাসন বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি যেয়ে শুনি, আমার মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না।তারপর রাতে খুজতে খুুুজতে রাত বারোটা বেজে যায়।আতিœয় স্বজনের বাড়িতে ফোন দিয়ে খোজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি।কিন্তু কোন খোজ খবর পাইনা।হঠাৎ প্রায় রাত ১ টার দিকে ওর কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পাই।তারপর আমি আর ওর মা ওকে ঘড়ের মধ্যে নিয়ে যাই।পরে অবস্থা খারাপ দেখে সকালে ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি ।কোথায় ছিল? কি হয়ছে? এ ব্যাপারে ওর বাবা জানায় জাভেদ বাছার(২৮)পিতা-মৃত রোকন বাছাড় নামে এক প্রতিবেশী ওকে গোপালপুর ঘাট দোকান থেকে অনেক খাবার কিনে দিয়ে ঘাটের পূর্ব দিকে পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। আগে থেকে সেখানে উপস্থিত থাকা চারজন-চঞ্চল খালাসি,সঞ্জিত খালাসি,পান্নু মেল্যা,ও কুদ্দুস এর কাছে কিশোরিকে দিয়ে অনেক টাকা নিয়ে চলে আসে।ডাক দিলেও জাভেদ ফিরেনি।তারপর ঐ চারজন ওর মুখে কাপড় দিয়ে মুখ বেধে দেয়।কথা বলতে বলতে কিশোরীর পিতা ভেঙে পড়ে।
এ ব্যাপারে আহত কিশোরী আমাদের জানায়,জাভেদ(৩০) পরিচিত হওয়ায় দোকানের অনেক খাবার কিনে দেয়। খেতে খেতে সে তার সাথে ঘাটের পাশ দিয়ে পাট ক্ষেতের দিকে যায়।“জাভেদ আমাকে ওদের চারজনের কাছে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে আসে ,আমি ডাকদিলেও শুনেনি।তারপর ওরা আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যাবহার করে,আমাকে মারধর করে ,আমার হাতমুখ আটকায়ে রাখছিলো।ওরা আমাকে অনেক কষ্ট দিছে ,তারপর অনেক রাতে বাড়ির সামনে দিয়ে যায়”.
অভিযুক্তরা হলেন  চঞ্চল খালাসি(২৫)  পিতা মন্টু খালাসি,সঞ্জিত খালাসি(২৫)পিতা-অভি খালাসি,পান্নু মেল্যা(৪০) পিতা- জুদু মেল্যা,ও কুদ্দুস(৪০) পিতা-দ্বিরাজউদ্দিন।এরা সবাই উক্ত ইউনিয়নের খালাসি ডাংগি গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় উক্ত ঘাটে নৌকা ও সি বোড চালক।
খোজ নিয়ে জানা যায় মেয়েটি খালাসি ডাংগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করত।নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ায়  ওর বাবা ওকে  ছয়মাস পুর্বে পার্শ্ববর্তী  মাদ্রসায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাম প্রসাদ ভক্তের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান,ঘটনার কথা আমি শুনেছি তবে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।
অভিযোগের ব্যাপারে কিশশোরীর আত্মীয় নাজমুল হক নান্নু জানান,মামলার সকল প্রস্তুতি শেষে আমরা আজকে অভিযোগ করতে যাব

Post Top Ad

Responsive Ads Here